ছবি: সংগৃহীত
হৃদরোগ কেবল বয়স্কদের আক্রান্ত করে। কিন্তু না, হৃদরোগ হতে পারে শিশু-কিশোরদেরও। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে শিশুর হৃদরোগ হতে পারে প্রাণঘাতী।
হার্ট বা হৃৎপিন্ড হল আমাদের শরীরের পাম্প। এই অঙ্গটি সারা দেহে বিশুদ্ধ অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তার ফলেই দেহের কোষ খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে চাইলে হৃৎপিণ্ডের খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরি।
সদ্যোজাতদের শরীরে ফুটে ওঠে এইসব লক্ষণ
সদ্যোজাতরা নিজের সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে পারবে না। তাই বাবা-মাকেই তার শরীরের খুঁটিনাটি সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে, সন্তানের শরীরে এইসব লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই ব্যবস্থা নিন-
১. হঠাৎ হঠাৎ করে মুখ খুলে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে
২. আচমকাই ঘেমে গিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নিচ্ছে
৩. মাড়ি ও জিভ নীল হয়ে গিয়েছে
৪. খুব ছটফট করছে
৫. অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে ইত্যাদি।
অবহেলা করবেন না
এইসব সমস্যা একবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এই ভুলটা করলেই পরিবারের ছোট্ট সদস্যের প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। বরং এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার সন্তানের রোগলক্ষণ দেখার পরই ইসিজি বা ইকো করার পরামর্শ দিতে পারেন। আর এই দুটি টেস্টের মাধ্যমেই হার্টের অসুখের প্রাথমিক ইঙ্গিত খুঁজে পাওয়া যায়। তারপরই শুরু হবে চিকিৎসা।
দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই
সন্তানের কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ থাকলে কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সার্জারি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ অধিকাংশ শিশুই সার্জারির পর একদম সুস্থ হয়ে ওঠে।
এছাড়া যাদের সার্জারির প্রয়োজন নেই, তাদের ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা হয়। নিয়ম করে ওষুধ খেলেই এইসব বাচ্চারা আজীবন সুস্থ থাকে।
হাঁটতে জানা শিশুর শরীরে এই লক্ষণ দেখলেই সাবধান
একটু বড় বয়সি শিশুর হৃৎপিণ্ডে কোনও সমস্যা থাকলে এইসব লক্ষণের দেখা মিলতে পারে-
১. অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে শরীরিক সক্ষমতায় পেরে উঠছে না
২. সমবয়সিদের থেকে আগেই হাঁফিয়ে উঠে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে
৩. কোনও কারণ ছাড়াই ঘেমে নেয়ে স্নান করে যাচ্ছে
৪. জিভ ও মাড়ি নীল হয়ে গিয়েছে
৫. অত্যন্ত দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছে ইত্যাদি।
১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দেহে থাকে এইসব লক্ষণ
১০ বছর বা তার বেশি বয়সি বাচ্চারা হৃৎপিণ্ড সমস্যার কবলে পড়লে তাদের শরীরে এইসব লক্ষণ দেখা দেয়-
১. এক্সারসাইজ করার সময় দ্রুত হাঁফিয়ে উঠছে
২. হঠাৎ করেই বুক ধড়ফড় করছে
৩. বুকে ব্যথা হচ্ছে
৪. সমবয়সিদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পেরে উঠছে না
৫. অল্পতেই ঘেমে নেয়ে স্নান করে যাচ্ছে
৬. হঠাৎ করই অজ্ঞান হয়ে পড়ছে ইত্যাদি।
খবরটি শেয়ার করুন