ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমা শক্তিকে মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হাতে আরো ক্ষমতা দিয়ে নতুন একটি বৈদেশিক নীতিবিষয়ক আইন পাশ করেছে চীন। এর ফলে বিশ্ব জুড়ে চীনের স্বার্থবিরোধী কোনো রকম কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি চীনের আগ্রাসী কূটনীতিকে সামনে নিয়ে এসেছে। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইনের অধ্যাপক জ্যাক ডিলাইসলে বলেন, ‘এ আইন তুলনামূলকভাবে ফাঁকা বুলিসর্বস্ব। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ধাক্কা।’
কোনো সংস্থা চীনের স্বার্থহানিকর কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে নতুন আইনের আওতায় সাজার মুখে পড়বে। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন হবে, সে ব্যাপারে আইনটিতে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটি চীনের আগ্রাসী কূটনীতিকে সামনে নিয়ে এসেছে। ১ জুলাই থেকে এ আইন কার্যকর হচ্ছে। তবে কতটা সক্রিয়ভাবে এ আইন প্রয়োগ করা হবে, তা এখন দেখার বিষয়। কোভিড মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে উন্মুখ হয়ে আছে চীন। এমন সময়ে এরকম একটি আইন করে শি জিন পিংয়ের হাত আরো শক্তিশালী করা হলো। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইনের অধ্যাপক জ্যাক ডিলাইসলে বলেন, ‘এ আইন তুলনামূলকভাবে ফাঁকা বুলিসর্বস্ব এবং অনেকটাই সুপরিচিত। তবে আইনটি কড়া বৈদেশিক নীতির বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ধাক্কা।’
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম ‘দ্য গ্লোবাল টাইমস’ বলেছে, ‘পশ্চিমা আধিপত্যবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এ আইন।’ কার্নেই-চায়না সেন্টারের পণ্ডিত চং জা-লান বলেন, এটি হলো বেইজিংয়ের সক্রিয়ভাবে নিজেদের স্বার্থের দিকে ধাবিত হওয়ার অভিপ্রায়ের একটি লক্ষণ। ভারতীয় থিংক ট্যাংক তক্ষশীলা ইনস্টিটিউশনে চায়না স্টাডিজ প্রোগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়া মনোজ কেওয়ালরামানি বলেছেন, চীনের নেতারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য অন্তর্নিহিত উত্তেজনা বোধ করেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্প্রতি কয়েক বছর ধরেই সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। দুই পরাশক্তিই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরো পড়ুন:মালি থেকে শান্তিরক্ষা মিশন তুলে নিল জাতিসংঘ
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কোম্পানির স্থানীয় কার্যালয় বন্ধ করে পশ্চিমাবিরোধী বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা বাড়তে থাকার পালটা পদক্ষেপ হিসেবেই বেইজিং এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ জায়ান্ট মাইক্রোনের তৈরি পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চীন।
এম/ আইকেজে