১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিকভাবে নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়।
কোনো কাজ দ্বারা যদি কাউকে শারীরিক বা মানসিকভাবে গুরুতর কষ্ট দেওয়া হয় বা ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে ভয় দেখানো হয়, জাতিসংঘের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তাকে অপরাধ বলে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন (সিএটি) ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন কার্যকর হয়। এ কনভেনশন অনুযায়ী ১৯টি ধারা রয়েছে যা রাষ্ট্রপক্ষ মেনে চলতে বাধ্য। চীন ১৯৮৬ সালে এ কনভেনশনে স্বাক্ষর করে এবং ১৯৮৮ সালে তা অনুমোদন করে। তাই নির্যাতন প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে চীন সিএটি নীতি দ্বারা বাধ্য।
তবুও তিব্বতে চীনের অত্যাচারের দ্বারা চীন প্রতিনিয়ত নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে। ২৬ জুন তাই তিব্বতে নির্যাতন বন্ধ করার জন্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) প্রতি আহ্বান জানানোর একটি সুযোগ। তিব্বতের মানুষদের কারাগারে বন্দি করে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় চীন, কখনো বা তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কারাগারেই মারা যায় বন্দিরা।
তাই সিসিপিকে তিব্বতে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং তিব্বতের রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।
আই.কে.জে/