২১ জুন, ইউয়ান, যা সাধারণত রেনমিনবি (আরএমবি) নামে পরিচিত, ডলারের বিপরীতে ৭.২-এর নিচে নেমে এসেছে। চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দৃঢ়তা নিয়ে উদ্বেগ আরও গভীর হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা চীনের বাজার থেকে সরে এসেছে এবং জানুয়ারি থেকে ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মূল্য ৪ শতাংশ কমে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত আর্থিক নীতির পার্থক্যের পাশাপাশি চীনা প্রবৃদ্ধি আরও দুর্বল হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে, কোভিড-১৯ মহামারীর পর চীন সরকার সবকিছু খুলে দেয়। কিন্তু তারপরেও চীনা অর্থনীতির তেমন কোনও উন্নতি দেখা যায় নি। অপরদিকে মার্কিন ডলারের সূচক গত বছরের শুরু থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে ডলার সূচক এই বছরের ১ জুন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যার প্রভাব সমস্ত প্রধান মুদ্রার উপর পড়েছে। শুধু রেনমিনবির সাথে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ৭.২০ স্তরে উন্নীত হয়েছে৷
এই অবমূল্যায়নকে চীনের নিজস্ব অর্থনৈতিক মন্দার জন্য দায়ী করা যেতে পারে। অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করতে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) সুদের হার হ্রাস বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। যখন বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশ মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় আর্থিক নীতি কঠোর করছে, তখন সিসিপি তার নিজস্ব মুদ্রানীতি শিথিল করে বিপদ ডেকে আনছে।
অপেক্ষাকৃত ছোট সুদের হার কমানো সত্ত্বেও আরএমবি এর বিনিময় হার ৭.১ থেকে ৭.২০ তে নেমে এসেছে, যা চীনা অর্থনীতির দুর্বলতার দিক তুলে ধরে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সিনিয়র কর্মকর্তারা এবং ব্যবসায়ী নেতারা অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করতে এবং আস্থা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে উদ্বেগ মোকাবেলায় ছয়টি জরুরি বৈঠক করেছেন।
চীনে অফিসিয়াল বেকারত্বের হার ৫.২ শতাংশ, যা গত মাস থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে, কিন্তু ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার রেকর্ড উচ্চতায় এসে পৌঁছেছে। এ পরিমাণ ২০.৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনও গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। যার ফলে জনগণের হতাশা চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
আই. কে. জে/