ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে বলেন, সামনের দিনগুলোতে রুপালি পর্দার নায়ক নয়, মাঠের নায়ক হয়ে দেশের কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করতে চাই। বিজয়ী হওয়ার পর সোমবার (৮ই জানুয়ারি) ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন ফেরদৌস। এসময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি অনেক বড় একটা দায়িত্ব পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ফেরদৌস বলেন, যে জার্নিটা শুরু করেছিলাম, সেটা আজকে সফল হলো। আমি চেয়েছিলাম, পর্দার নায়ক থেকে জননায়ক হয়ে উঠতে। গলায় একের পর এক ফুলের মালা যখন পরিয়ে দেওয়া হলো, তখন বুঝতে পারলাম, আমি একটা বড় দায়িত্বের মধ্যে প্রবেশ করলাম।
অভিনেতা আরও বলেন, এতোদিন অভিনেতা হিসেবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু এবার তাদের কাছাকাছি গিয়ে যে ভালোবাসা পেলাম, সেটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। অনেক বেশি আবেগে পরিপূর্ণ। সেই সঙ্গে এতোদিন আমার ৪-৫ জনের পরিবার ছিল, এখন থেকে আমার পরিবারের সদস্য ২০ লাখ।
নির্বাচনী প্রচারণায় কখনও কি মনে হয়েছে, অন্যদের তুলনায় জনসংযোগে পিছিয়ে পড়ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস বলেন, প্রতিদিন টিমের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতাম, কীভাবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি। প্রচারে নেমে প্রতিদিন ১৫-১৮ কিলোমিটার পথ হেঁটেছি।
এই এলাকার একটা বড় সমস্যা, মানুষ খুব একটা ভোট দিতে যান না। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। এর কৃতিত্ব আমার এলাকার মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের। ওনার রাজনৈতিক টিম আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন।
আরো পড়ুন: ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চান মাহি
জয়লাভ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কোনো শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন কিনা? উত্তরে ফেরদৌস বলেন, এখনও গেজেট হয়নি। আশা করি, খুব দ্রুত ওনার সঙ্গে আমার কথা হবে। তবে আমার কাছে এটা খুবই গর্বের বিষয় যে, তিনি আমার কেন্দ্রের ভোটার। ভোটের দিন সকাল ৮টায় তিনি আমাকে প্রথম ভোট দিয়েছেন। এটা আমার কাছে অন্যরকম একটা প্রাপ্তি।
এসি/ আই. কে. জে/