গত বৃহস্পতিবার, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর শহরের সিং সভা গুরুদ্বার প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসীরা জোর করে ঢুকে সেখানকার কীর্তন বন্ধ করে দেয় এবং ধর্মীয় কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়।
গুরুদ্বারে উপস্থিত স্থানীয় শিখ এবং হিন্দুদের দাবি সন্ত্রাসীরা শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহেবকেও অপমান করেছে।
সন্ত্রাসীদের পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হলেও কোনো ধরনের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
গুরুদ্বারে একজন কীর্তন গায়ক অজয় সিং জানান, সন্ত্রাসীরা গুরুদ্বারে ঢুকে কীর্তন বন্ধ করে দেয় এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, এ গুরুদ্বার কখনো কারো অশান্তির কারণ হয় নি, তবে কেন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সাথে এমন আচরণ করা হচ্ছে?
পাকিস্তানে বসবাসরত সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গত ২৪ জুন, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ার শহরের ইয়াকাতুত এলাকায় সশস্ত্র মোটরসাইকেল চালকদের হাতে একজন শিখ দোকানদার মনমোহন সিংকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। এর একদিন আগেই পেশোয়ারে হামলার শিকার হন আরেক শিখ ব্যক্তি তারলোক সিং।
এনজিও প্রতিষ্ঠান, ইউনাইটেড শিখস, পাকিস্তানে শিখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানায়। ইউনাইটেড শিখস এবং অন্যান্য শিখ প্রতিনিধিরা পাকিস্তানি দূতাবাসের সাথে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ব্যাপারে বৈঠকে বসবে বলেও জানায়।
টুইটবার্তায় ইউনাইটেড শিখস জানায়, পাকিস্তানে শিখদের উপর এ হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ব্যাপারে জড়িত থাকা সমস্ত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
আই. কে. জে/