ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গতকাল রোববার বলেছেন, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন সশরীর হবে।
পাঁচ দেশের অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রিকসের সদস্যদেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সদস্যদেশগুলোর আদ্যক্ষর অনুযায়ী ব্রিকসের নামকরণ করা হয়েছে।
আসন্ন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পুতিন এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা উল্লেখ করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট।
পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সদস্য।
গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দল এএনসির একটি সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন এগিয়ে চলছে। তাঁরা সম্মেলনের কাঠামো–সম্পর্কিত আলোচনা চূড়ান্ত করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রামাফোসা বলেন, তাঁরা প্রায় তিন বছর ধরে সশরীর ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন করেননি। এবারের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনটি ভার্চ্যুয়ালি হবে না। তাঁরা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন সশরীর করতে যাচ্ছেন।
ইউক্রেনের শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে, আইসিসির সদস্য হিসেবে পুতিনকে গ্রেপ্তার করার মতো অবস্থান এড়াতে প্রিটোরিয়া আসন্ন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন চীনে করার কথা ভাবছে। কারণ, চীন আইসিসি গঠনের চুক্তিতে (রোম সংবিধি) স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।
পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি প্রিটোরিয়ার জন্য একটি কূটনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রিটোরিয়া বলেছে, এই যুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান নিরপেক্ষ। সংকট নিরসনে তারা সংলাপের পক্ষে।