২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছরই বিশ্বের সর্বনিম্ন ইতিবাচক দেশ হিসেবে স্থান পেয়ে আসছে আফগানিস্তান। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে এ জরিপ করা সম্ভব হয় নি। তবুও ২০২১ সালে এদেশের স্কোর ছিল ৩২, অর্থাৎ এই এক বছরে দেশটির পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি ঘটে নি। ২০২২ সালে এসে আফগানিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৩৪ এ, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন।
২০২২ সালের জুলাই এবং আগস্টে নেওয়া গ্যালাপ সমীক্ষাগুলো পাঁচটি নেতিবাচক অভিজ্ঞতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং ১৪২ টি দেশে পরিচালিত হয়।
প্রভাষক হুজতুল্লাহ মীর্জা বলেন, মানসিক প্রশান্তির জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীলতার। তাছাড়া সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ, নাগরিকদের স্বাধীনতার সুবিধা প্রদান এবং তাদের কাজ করার মতো নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা উচিত। এতে নাগরিকদের মানসিক প্রশান্তি সুদৃঢ় হয়। কাবুলের বাসিন্দাদের দাবি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
মোহাম্মদ নাঈম নামের এক বাসিন্দা জানান, তিনি শিক্ষিত হলেও এখন কাজের অভাবে রাস্তা থেকে বোতল কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা উনার মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলছে।
অপর একজন বাসিন্দা আহমদ জিয়া বলেন, দারিদ্র্য দুর্দশায় জর্জরিত হয়ে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
তবে গ্যালাপ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে, ইসলামিক আমিরাত দাবি জানায় যে, আফগান জনগণের পরিস্থিতি অতীতের তুলনায় উন্নত হয়েছে।
ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্র, জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, গ্যালাপ রিপোর্ট অবৈধ এবং পূর্বেও গ্যালাপ আফগানিস্তানের নামে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিল।
অন্যদিকে গ্যালাপ রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক আফগান বাসিন্দাদের দাবি ২০২২ সালে তারা নতুন কিছুই শিখেন নি এবং তাদের অবস্থার উন্নতিও হয় নি।
আই. কে. জে/