ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে বগুড়ায় হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে রোববার দুপুরে বগুড়ার মহাস্থান হাটে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেক কমে ২৫০ টাকা হয়েছে। বগুড়া শহরে সেই কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শনিবার মহাস্থান হাটে পাইকারি পর্যায়ে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৪৬০ টাকা। ফড়িয়া-ব্যাপারীদের এক হাত বদল হয়ে বগুড়া শহরের ফতেহ আলী সবজির খুচরা বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা।
মহাস্থান হাটের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মিনাদুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে শনিবার এক কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি পর্যায়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রোববার সকাল থেকেই হাটে হঠাৎ করে প্রচুর কাঁচা মরিচের সরবরাহ হয়। সকালে দিনের শুরুতে এক কেজি কাঁচা মরিচ ৩৬০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। বেলা যত বেড়েছে, হাটে কাঁচা মরিচের সরবরাহ তত বেড়েছে। কমেছে দাম। বেলা ১১টার দিকে দাম পড়ে ৩০০ টাকা কেজি হয়ে যায়। দুপুরে আরেক ধাপ দাম পড়ে দেড়টার দিকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
মহাস্থান হাটের সবজি ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ হাটে বছরের এই সময়ে গড়ে ১০ টন কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য আনা হত। শনিবার এসেছে এক টনেরও কম। এক দিনের ব্যবধানে হাটে রেকর্ড কাঁচা মরিচের সরবরাহ হয়েছে। দামও ২৫০ টাকায় (কেজিতে) নেমেছে। মরিচের সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লাসহ অন্য মোকামে চাহিদামত কাঁচা মরিচ চালান পাঠানো শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন: জুনে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স
ফতেহ আলী বাজারের খুচরা বিক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, ‘এক দিন আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন সেই মরিচ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এম/