ছবি: সংগৃহীত
শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের প্রেস কাউন্সিলর, সরফরাজ হোসেন। জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতের বেশকিছু জি-২০ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা নিয়ে পাকিস্তানি কূটনৈতিকেরা ঘৃণাত্মক মন্তব্য করেন। গত মাসে, ভারত কখন কোথায় অনুষ্ঠান আয়োজন করবে তা প্রকাশ করলে সেখানে দেখা যায় এপ্রিল এবং মে মাসে শ্রীনগর এবং লাদাখের লে অঞ্চলে জি-২০ এবং যুব-২০ এর সম্মেলন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পাকিস্তান ভারতের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায়। পাকিস্তানি কাউন্সিলর তার টুইটবার্তায় ভারতের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
রানা আইয়ুব ভারত এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে বলেন যে, ভারতের সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশের নাগরিকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। সরকার প্রায় ২২ কোটি মুসলিমের উপর অত্যাচার চালিয়ে তাদেরকে অন্যান্য নাগরিকদের কাছ থেকে আলাদা করে রেখেছে। এমন কার্যক্রম বেশ কিছু বছর ধরেই চালাচ্ছে ভারত। এ ব্যাপারে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোত সাহায্য প্রার্থনাও করেন।
চলতি বছরে ভারত জি-২০ এর সভাপতির পদে রয়েছে এবং তার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ভারতকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আন্তর্জাতিক মহলে তার স্থান পাকাপোক্ত করেছে।
যাইহোক, পাকিস্তান থেকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে ৩৭০ ধারা পুনঃস্থাপনের জন্য ইসলামাবাদের দাবি সত্ত্বেও, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে তিনি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করে বসেন।
বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভুট্টোর মন্তব্যে এ বিষয় পরিষ্কার যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে বৈধ মনে করে। তিনি আরো বলেন যে, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ থেকে আত্মরক্ষা করার অধিকার ভারতের রয়েছে। আর তাই রাজনৈতিক বা কূটনৈতিকভাবে বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ তুলে ধরতে পেছপা হবে না ভারত।
জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের সূতিকাগার বলেন।
আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশে পাকিস্তানের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়টি ভারত ধারাবাহিকভাবে উত্থাপন করে। জম্মু ও কাশ্মিরের জনগণ কয়েক দশক ধরে এ সন্ত্রাসবাদের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন।
২০১৯ সালে ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ফলে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করা আরো সহজ হয়ে উঠে।
জম্মু ও কাশ্মিরে জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা এ অঞ্চলের জন্য অতুলনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করে।
ভারত জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনে জম্মু ও কাশ্মিরের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। এ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অঞ্চল নিজেদের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।
খবরটি শেয়ার করুন