আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি
২৪ জুন, আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসির জন্মদিন। আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে ১৯৮৭ সালের এই দিনে জর্জ মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির ঘর আলো করে আসে তৃতীয় সন্তান, যিনি কিনা এখন বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা।
আজ শনিবার ৩৬ বছরে পা রাখলেন মেসি। কিংবদন্তি ফুটবলারের জন্মদিন এর আগেও ঘটা করে পালন করেছেন তার ভক্তরা। তবে এবারের জন্মদিনটি তার জন্য স্পেশাল। কেননা বিশ্বকাপ জয়ের পরে এটাই মেসির প্রথম জন্মদিন।
ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব রকম শিরোপাই জিতেছেন মেসি। ছিল না শুধু একটি বিশ্বকাপ। সেই আক্ষেপও ঘুচেছে ২০২২ সালে কাতারে। মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা।
মেসির ছোটবেলা স্বাভাবিক শিশুদের মতো ছিল না। দৈহিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট বয়সেই। ১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোন জনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু তার বাবা মায়ের সেই রোগের চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য ছিল না। এই চিকিৎসার খরচ ছিল প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার।
মেসি ও তার পরিবার- ছবি: সংগৃহীত
সেই চিকিৎসার জন্যই বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন মেসি ও তার পরিবার। মেসি ২০০০ সালে চলে আসেন বার্সেলোনায়। যুব দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাম লেখান বার্সেলোনার সিনিয়র দলে। এরপরের সময়টা শুধুই স্বপ্নের।
টানা ২ দশক ধরে পুরো ফুটবল বিশ্বকে নিজের জাদুতে মাতিয়ে রেখেছেন আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার। নিজের ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮টি ম্যাচে ৬৭২ গোল আর পিএসজির হয়ে ৭৫ ম্যাচে ৩২ গোল করেছেন মেসি। অপরদিকে, আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারে ১৭৫ ম্যাচে গোল ১০৩টি। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে ১০২৮ ম্যাচে এখনও ৮০৭ গোল করেছেন মেসি।
বার্সেলোনার হয়ে মেসি ক্লাবের ইতিহাসে সর্বাধিক ৩৫টি ট্রফি জিতেছেন। তার মধ্যে ১০টি লা লিগা, ৮ স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৭টি কোপা দেল রে, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ৩টি। এছাড়া পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগ ওয়ানসহ ৩টি ট্রফি জিতেছেন মেসি।
আরো পড়ুন: টিভিতে দেখুন আজকের খেলা (২৪ জুন ২০২৩)
এম/