শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এ মাসেই ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন *** পশ্চিম তীর দখলে ইসরায়েলি পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** বিনা শর্তে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির *** নির্বাচনে নিজস্ব সিদ্ধান্তেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে ইসি *** নাম বদলে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ হয়ে গেল ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ *** দেড় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের *** ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী *** আদালত যাদের পলাতক বলবেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না: আসিফ নজরুল *** নির্বাচনে প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক *** সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু

সকালের নাশতায় রাখুন স্বাস্থ্যসম্মত ওটস

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৪ অপরাহ্ন, ১১ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসচেতনরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওজনের কথা ভেবে ওটস খেয়ে থাকেন। তবে ওটসের মূল কাজ ওজন কমানোই নয়। আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। চলুন সেগুলো দেখে নেওয়া যাক-

পুষ্টি উপাদান

ওটসের পুষ্টির গঠন বেশ সুষম। এটি কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারের খুব ভালো একটি উৎস। অন্যান্য খাদ্যশস্যের তুলনায় এতে আছে অনেক বেশি প্রোটিন ও ফ্যাট। আধা কাপ (৭৮ গ্রাম) ওটসে আছে দৈনন্দিন চাহিদার ১৯১ শতাংশ ম্যাংগানিজ, ৪১ শতাংশ ফসফরাস, ৩৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ২৪ শতাংশ কপার, ২০ শতাংশ আয়রন, ২০ শতাংশ জিঙ্ক, ১১ শতাংশ ফোলেট, ৩৯ শতাংশ ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ১০ শতাংশ ভিটামিন বি-৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড)। এছাড়া আছে ৫১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৮ গ্রাম ফাইবার এবং সামান্য কিছু ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ (পিরিডক্সিন), ভিটামিন বি-৩ (নায়াসিন)। এত কিছুর পরও ক্যালরি মাত্র ৩০৩।

ওজন কমাতে সহায়ক 

ওটস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই দিনে হুটহাট খিদে পায় না। কারণ ওটসে থাকা গ্লুকোন ও পেপটাইডের বন্ধন। এই দুই উপাদান হলো ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

ওটসে থাক বেটা-গ্লুকোন নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন তিন গ্রাম ওটস খেলে তা প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।

হার্ট ভালো রাখে

ওটসে রয়েছে বিশেষ একধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান; যা শরীরের ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

নিয়মিত ওটস খেলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে হাইপার টেনশনের ঝুঁকি কমে যায়।

আরো পড়ুন : শীতকালেই কেন পড়ে বিয়ের ধুম

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ওটসের বেটা-গ্লুকোন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে। শরীরে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে ওটস।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ডায়াবেটিস রোগীরাও তাদের খাদ্যতালিকায় শামিল করতে পারেন ওটস। লো ক্যালোরি ও সুগার ফ্রি হওয়ায় ডায়াবেটিসের রোগীরা অনায়াসেই এটি ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন।

হজমে সাহায্যকারী

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ওটস। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছে, তাদের জন্য ওটস দারুণ উপকারী। কেননা এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া লিভারের জন্যও ওটস উপকারী।

ব্রেস্ট ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে 

ওটসের বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ব্রেস্ট ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী প্রতিদিন এক বাটি ওটস খায়, তাদের ভেতর ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি ৪১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়। আর এটি পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এসব অঙ্গ সুস্থ থাকলে কোলন ক্যানসার হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।

এস/ আই. কে. জে/ 

সকালের নাস্তা ওটস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250