ছবি: সুখবর
সারাদেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধন ও ঐশ্বর্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শ্রীশ্রী লক্ষ্মীপূজা এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
বাঙালি হিন্দুদের ঘরে ঘরে এই লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করা হয়। শারদ পূর্ণিমা, অর্থাৎ আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিনটিতে বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে মা লক্ষ্মীর পূজা ও আরাধনা করা হয়।
অন্যদিকে মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে অশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উদযাপন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি উদযাপন করে আসছেন। এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়। তিথি অনুযায়ী, শনিবার রাত ১টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত মা লক্ষ্মীর পূজার আয়োজন করতে পারবে ভক্তরা।
এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পায়ে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে আলপনা আঁকার মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। ভক্তরা মা লক্ষ্মীর কাছে তাদের আয়-উন্নতির জন্যও প্রার্থনা করবে।
অন্যদিকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন করা হয় প্রবারণা।
সকাল থেকে দিনটি উপলক্ষে ধর্মপুর আর্য বন বিহার, বৌদ্ধ বিহার, বর্ণাল আর্য অরণ্য ভাবনা কেন্দ্রসহ সকল বিহারে পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান, বুদ্ধ স্নানসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এদিন ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, শীল গ্রহণ ও বুদ্ধ পূজা, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান, আলোচনাসভা, ফানুস ওড়ানোসহ নানা আচার অনুষ্ঠিত হয়।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন