বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি জাতীয় সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না: আমীর খসরু *** তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব দল একমত: আলী রীয়াজ *** পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার *** এনবিআরের তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসর *** প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ *** অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** সবজি সংরক্ষণে ১০০ হিমাগার নির্মাণ করছে সরকার *** বিপিএলের দল বাছাই আগস্টে, ড্রাফট অক্টোবরে *** দালাই লামার মৃত্যুর পর একজন উত্তরসূরি থাকছেন *** প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া সেই ঊর্মি অবশেষে...

ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় কি খুব ভয় পাচ্ছেন? জেনে নিন প্রতিকার

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫২ অপরাহ্ন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মাত্রার অধিক চিন্তাকে বলা হয় দুশ্চিন্তা। আমরা অনেকেই ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় ভয় পেয়ে থাকি। এতে স্বাভাবিক জীবনের পাশাপাশি কাজে মন বসে না। ফলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই ভুলে যাওয়ার ভয় অনেক ক্ষেত্রে ফোবিয়ার পর্যায়ে চলে যায়। তবে ফোবিয়া মানে শুধু ভয় নয়। ভিত্তিহীন কারণে দুশ্চিন্তার নামই ফোবিয়া। অ্যাথাজাগরফোবিয়া এক ধরনের অযৌক্তিক ভয়। অ্যাথাজাগরফোবিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন, তিনি অন্য কাউকে ভুলে যাবেন অথবা অন্যরা তাকে ভুলে যাবেন।

করণীয়

১. যোগব্যায়াম এবং শ্বাসের ব্যায়াম করুন।

২. অ্যারোমা থেরাপি গ্রহণ করুন। 

৩. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।

৪. নিজের জীবনের বিস্তারিত খুঁটিনাটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন। 

৫. কীভাবে মানসিক চাপে কম থাকবেন সেটা ভাবুন। 

৬. মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন করুন।

৭. যে কোনো সময় সহায়তা করতে পারে, এমন একটি সাপোর্ট সিস্টেম আয়ত্তের মধ্যে রাখুন।  

চিকিৎসকের সহায়তা নিন

প্রত্যেক মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তা বা ভয়ের মুহূর্ত থাকে। কিন্তু এটা যদি প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার মানকে নামিয়ে ফেলে, তবে অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক আপনার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। যেমন:

১. কী নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা তৈরি হচ্ছে, সেটি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তিনি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। 

২. কীসের থেকে আপনার ভয় তৈরি হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে তিনি আপনাকে সহযোগিতা করবেন। 

৩. আপনার প্রয়োজনীয় দৈহিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। 

৪. অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতা বা ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা সেটাও দেখবেন। 

৫. প্রয়োজনে চিকিৎসক আপনার শৈশবের বেদনার ইতিহাস, পারিবারিক ইতিহাস বা অন্য কারণ আছে কিনা, যা ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় ভয় তৈরি করছে  সেগুলো জানতে চাইবেন।

আরো পড়ুন : জন্ডিস হলে যা খাবেন, যা খাবেন না

ভুক্তভোগী যেভাবে নিজের যত্ন নেবেন

প্রয়োজনে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখুন। ভয় থেকে কীভাবে বের হবেন, সেটা নিয়ে আপনার বন্ধু অথবা প্রিয়জনের সঙ্গে আলাপ করুন। যাতে তারা অবস্থা বুঝে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে।

মানসিক চাপ কমানোর পদ্ধতি

অনেক ধরনের মানসিক চাপ কমানোর পদ্ধতি আছে। যেমন: শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, মেডিটেশন, মাইন্ডফুলনেস, স্ট্রেচিং ইত্যাদি। যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। যদি মনে করেন আপনার প্যানিক অ্যাটাক শুরু হচ্ছে, তাহলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম চর্চা করতে পারেন। প্যানিক অ্যাটাক এবং দুশ্চিন্তা মোকাবেলা করা কঠিন  মনে হলেও নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের চর্চা আপনাকে ধীরে ধীরে  মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করবে।

সাপোর্ট গ্রুপ

আশপাশে পরিচিত কোন সাপোর্ট গ্রুপ থাকলে অথবা অনলাইনে কোন সাপোর্ট গ্রুপের সঙ্গে সংযুক্ত হন। বিশেষ করে যারা অন্যের মুখোমুখি কথা বলতে ভয় পান, তাদের জন্য অনলাইন গ্রুপ সুবিধাজনক।

এস/ আই.কে.জে/

প্রতিকার ভুলে যাওয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন