ভারতের হিমালয় অঞ্চলের এক শহরে ধর্মীয় নেতাদের এক সমাবেশে দালাই লামার দেওয়া একটি ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয় আজ বুধবার (২রা জুলাই)। ছবি: এএফপি
তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামা আজ বুধবার (২রা জুলাই) নিশ্চিত করেছেন, তার মৃত্যুর পর একজন উত্তরসূরি থাকবেন। এর মধ্য দিয়ে ৬০০ বছরের পুরোনো দালাই লামা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কী না, তা নিয়ে বৌদ্ধ অনুসারীদের মধ্যে চলা জল্পনার অবসান হলো। খবর এএফপির।
এটি তিব্বতের মানুষের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কারণ, অনেকে আশঙ্কা করছিলেন তারা ভবিষ্যতে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়বেন। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে যারা দালাই লামাকে অহিংসা, করুণা এবং চীনের শাসনাধীন তিব্বত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে দেখেন, তাদের কাছেও ঘোষণাটি গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান দালাই লামার নাম তেনজিন গিয়াৎসো। তিব্বতীয় বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি দালাই লামার চতুর্দশ পুনর্জন্ম।
তিব্বত চীনের ভেতরে অবস্থিত এক বিশাল উচ্চ ভূমি। এর আকার প্রায় দক্ষিণ আফ্রিকার সমান। দালাই লামা তিব্বতের জন্য ব্যাপক আকারে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার দাবিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে তার অনুসারীরা তার প্রশংসা করে থাকেন।
১৯৫৯ সালে তিব্বতের রাজধানী লাসায় চীনা সেনারা এক বিদ্রোহ দমন করার পর দালাই লামা এবং হাজার হাজার তিব্বতি ভারতে চলে যান। সেখানেই তারা দীর্ঘদিন ধরে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। শান্তিতে নোবেলবিজয়ী এ ধর্মীয় নেতা এর আগে বলেছিলেন—জনগণ চাইলেই কেবল দালাই লামা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা থাকবে।
আজ তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে, বিশেষ করে নির্বাসিত তিব্বতি জনগণ, হিমালয়, মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়া ও চীনের কিছু অংশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে দালাই লামা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ পেয়েছেন তিনি।
খবরটি শেয়ার করুন