শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

শিশু হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৪ অপরাহ্ন, ১৭ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

অনেকেই সর্দি লাগলে কমবেশি কাশির সমস্যায় ভোগেন। তবে কাশির লক্ষণ কখনো কখনো গুরুতর হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে হুপিং কাশির সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই শিশুদের মধ্য়ে ঘন ঘন কাশির লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। শিশু হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।

আসলে হুপিং কাশি একটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। বর্তমানে এর টিকাও সহজলভ্য। এই টিকা নিলে হুপিং কাশি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। হুপিং কাশির ব্যাকটেরিয়ার নাম বরদেতেল্লা পারটুসিস।

আরো পড়ুন : প্রি-ডায়বেটিসে সতর্কতা

হুপিং কাশির লক্ষণ কী কী?

একেকটি ধাপে একেক রকম লক্ষণ থাকে হুপিং কাশির। যেমন প্রাথমিক ধাপে এই কাশি সাধারণ সর্দিকাশির মতোই শুরু হয়। এর পরের ধাপে কাশি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দেখা দিতে আরও কিছু উপসর্গ। যেমন-

>> নাক থেকে জল পড়া, বারবার নাক টানা

>> অল্প জ্বর

>> মাঝে মাঝে কাশি (শিশুদের এই কাশি হয় না)

>> স্লিপ অ্যাপনিয়া অর্থাৎ ঘুমের মাঝে হঠাৎ কিছুক্ষণ নিশ্বাস থেমে যাওয়া

>> সায়ানোসিস অর্থাৎ মুখচোখ নীল বা বেগুনি হয়ে যেতে থাকা।

প্রথম দুই সপ্তাহ এই ধরনের লক্ষণই দেখা যায়। পরে এই লক্ষণগুলোতে কিছু বদল আসে। বেশিরভাগ ব্যক্তি তখনই এই ব্যাপারে সতর্ক হন। দুই সপ্তাহের মাথায় প্যারোক্সিজমের লক্ষণ দেখা দিতে থাকে।

এই অবস্থায় প্রচণ্ড জোরে ও ঘন ঘন কাশি হয়। আর কাফিং ফিটও হয়। অর্থাৎ কাশতে কাশতে কাশি আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এ সময়েই হুপের মতো আওয়াজ নির্গত হয় মুখ দিয়ে।

অন্যদিকে বমিও হয় কাফিং ফিটের সময়। শিশু প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ে ফিট হলে। শ্বাসকষ্টের সমস্য়া এই সময় বাড়ে।

কমবেশি আট সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে থাকে। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে সেরে উঠতে থাকে আক্রান্ত শিশু। সেরে ওঠাকালীন এই লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এক সময় তা সেরে যায়। কমবেশি চার সপ্তাহ এই পর্যায়টি চলে।

সূত্র: এবিপি লাইভ

এস/ আই.কে.জে/

স্বাস্থ্য পরামর্শ শিশু সতকর্তা হুপিং কাশি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন