ছবি: সংগৃহীত
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২১শে মে) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ রহিতক্রমে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত এবং সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্ত, প্রতিরোধ, দমন ও এ অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রণীত হয় এ অধ্যাদেশ।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এটি অনুমোদন করে। এ অধ্যাদেশে সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে মোট নয়টি অধ্যায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশটির প্রথম অধ্যায়ে শিরোনাম, সংজ্ঞা ও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ বিষয়ে বলা আছে। এখানে বলা হয়েছে, সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা একজন মহাপরিচালক ও বিধি ধারা নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালকের সমন্বয়ে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করবে।
এজেন্সির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। তবে প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে দেশের যে কোন স্থানে এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে। এজেন্সির দায়িত্ব ও কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। এ অধ্যাদেশের তৃতীয় অধ্যায়ে সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাদির বিস্তারিত বলা হয়েছে।
চতুর্থ অধ্যায়ে এর জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠনের বিস্তারিত বলা হয়। এ অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণে এ কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বা প্রধানমন্ত্রী হবেন এ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
মহাপরিচালক কাউন্সিলের কার্যসম্পাদনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন। এ কাউন্সিলের ক্ষমতা বিষয়ে বলা হয়েছে, কাউন্সিল, এ অধ্যাদেশ ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বাস্তবায়নকল্পে এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবে। অধ্যাদেশের পঞ্চম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ষষ্ঠ অধ্যায়ে সাইবার বিষয়ক ‘অপরাধ ও দণ্ড’ নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
এইচ.এস/