শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনা খরচে পেঁয়াজ চাষে লাভবান এই কৃষক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ৭ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের ঝিকরগাছায় অনেকেই পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। বিনা খরচে এবং বিনা পরিশ্রমে এসব চাষি পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। ফলে আগামীতে বাড়বে চাষির সংখ্যা।

উপজেলার বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার ওসমান গণী এ পেঁয়াজ চাষ করেন। ২৪ শতক জমিতে তিনি পটল ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে অন্তত ৪০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।

পেঁয়াজ চাষি ওসমান গণী বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম দিকে কৃষি অফিসের দেওয়া পেঁয়াজ বীজতলায় ফেলি। চারার বয়স ২৫-২৬ দিন হলে রোপণ করি। আগেই ক্ষেতে পটল লাগানো ছিল। এতে সরকারের দেওয়া সার দিয়েছি। কোনো খরচ হয়নি। পেঁয়াজ বিক্রির টাকা পুরোটাই লাভ। পটল গাছও বড় হয়েছে। পেঁয়াজ খুব বড় হয়েছে। ৮-৯টি পেঁয়াজে ১ কেজি হচ্ছে। ২০ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। প্রতি মণের দাম পাইকাররা ২ হাজার টাকা বলেছেন।’

আরো পড়ুন: কৃষকরা কত শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছেন জানালেন খাদ্যমন্ত্রী

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উপজেলার ৬০০ কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে গ্রীষ্মকালীন ১ কেজি পেঁয়াজ বীজের সাথে ২০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, জমি প্রস্তুত, সেচ, শ্রমিক ও বাঁশ ক্রয় বাবদ মোট ২ হাজার ৮০০ করে টাকা দেওয়া হয়।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘মূলত প্রণোদনার এ পেঁয়াজ গ্রীষ্মকালীন হলেও তা শীত মৌসুমেও ভালো ফলন হয়েছে। ওসমান গণীর মতো এই ব্লকের বারবাকপুর গ্রামের রুবিয়া বেগম ও বোধখানার মিকাইল হোসেনও ৪০-৪৫ হাজার টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। খরচ না থাকায় লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।’

এসি/ আই.কে.জে/ 


কৃষক পেঁয়াজ চাষ

খবরটি শেয়ার করুন