ছবি: সংগৃহীত
অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন বসতে যাচ্ছে। প্রথম অধিবেশনেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। নির্বাচন করা হবে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা। কীভাবে তাদের নির্বাচন করা হবে সেই প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেছে পাকিস্তানেরেএকটি সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্ববান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফুল রহমান আলভি। বৃহস্পতিবার (২৯শে ফেব্রুয়ারি) অধিবেশন ডেকেছেন তিনি। প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। তারপর স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ঠিক করা হবে।
বুধবার (২৮শে ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পরিষদ সচিবালয়ের এক নোটিশে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। পরে সেইদিন রাতেই প্রেসিডেন্ট আলভি বৃহস্পতিবার একই সময়ে অধিবেশন আহ্বান করেন।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে নতুন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকতে হবে। সেই অনুযায়ী, ২৯শে ফেব্রুয়ারি অধিবেশন ডাকা হয়।
আরো পড়ুন: সমকামী হিসেবে চিহ্নিত হলেই তিন বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা ঘানায়
কিন্তু সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলকে (এসআইসি) সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় অধিবেশন ডাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আলভি। আলভি অধিবেশন না ডাকায় জাতীয় পরিষদের স্পিকার অধিবেশন আহ্বান করেন। প্রেসিডেন্টকে পাশ কাটিয়ে স্পিকার অধিবেশন ডাকতে পারেন কি না, তা নিয়ে আইনি বিতর্ক শুরু হয়।
স্পিকার পদে সরদার আয়াজ সাদিককে মনোনয়ন দিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। আর পিপিপির নেতা আসিফ আলী জারদারি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। সমঝোতার ভিত্তিতে ডেপুটি স্পিকার পদে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী দেওয়ার কথা।
সূত্র: ডন
এসি/