বিশ্বজুড়ে ১৪০ কোটি ক্যাথলিকদের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকার কার্ডিনাল রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভোস্ট। ৬৯ বছর বয়সী এ ধর্মগুরু এখন থেকে পরিচিত হবেন পোপ চতুর্দশ লিও নামে। তিনি হচ্ছেন ইতিহাসে প্রথম আমেরিকান নাগরিক, যিনি পোপের আসনে বসছেন।
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার (৮ই মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিএনএন জানিয়েছে, প্রেভোস্টের জন্ম আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগোতে। তবে তার অভিজ্ঞতা শুধু আমেরিকায় সীমাবদ্ধ নয়। মিশনারি হিসেবে তিনি বহু বছর কাটিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকায়। তিনি পেরুর ত্রুজিয়ো শহরে এক দশক কাজ করেছেন এবং পরে চিকলায়ো শহরের বিশপ নিযুক্ত হন।
সেখানে তিনি ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি পেরুর নাগরিকত্বও গ্রহণ করেছেন। ভ্যাটিকানে বিশপ নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের প্রধান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তিনি পোপ ফ্রান্সিসের সংস্কারমূলক নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
ভ্যাটিকান নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেভোস্ট বলেছেন, ‘আমি নিজেকে এখনও একজন মিশনারি ভাবি। প্রতিটি খ্রিস্টানের মতোই আমারও মূল পরিচয়—যেখানেই থাকি, সেখানেই সুসমাচার প্রচার করা।’
আজ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ব্যালকনিতে উঠে নতুন পোপ লিও চতুর্দশ প্রথমবারের মতো জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের সবার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি পুনরুত্থিত খ্রিস্টের প্রথম শুভেচ্ছা—তিনিই সেই মঙ্গলময় রাখাল, যিনি ঈশ্বরের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি চাই, এ শান্তির বাণী আমাদের হৃদয়ে ও পরিবারে প্রবেশ করুক।’ বক্তব্য দেওয়ার সময় পোপ লিও চতুর্দশকে আবেগাপ্লুত দেখা যায়। ব্যালকনি থেকে নিচের ভক্তসমাগমকে তিনি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন