ছবি: সংগৃহীত
নেত্রকোণার হাওরে হাঁসের খামার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। ধান, মাছ চাষ করার পাশাপাশি হাওরে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাঁসের খামার।
নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার মেন্দিপুরের নূরপুর বোয়ালি গ্রামের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী সজল মিয়ার একটি হাঁসের খামার রয়েছে। ৩১০০ হাঁসের এ খামারটিতে ডিম দেয় প্রায় ১৮০০টি হাঁস। তার খামারে হাঁসের বাচ্চা, ডিম এবং বড় হাঁস বিক্রি করে বছরে ৬০-৭০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। তার খামারে চৈত্র মাসে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা হয় এবং জৈষ্ঠ্যমাসের শেষের দিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তার খামার থেকে ডিম পাঠানো হয় ঢাকা, নোয়াখালী, বরিশাল, ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
কৃষক বাবার সংসারে আর্থিক টানাপোড়ন চলছিল। বাবাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্যই তিনি এ খামার গড়ে তুলেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোনও প্রশিক্ষণ না থাকলেও হাওরাঞ্চলে অনেক কৃষক বংশ পরম্পরায় পূর্বপুরুষদের শেখানো পদ্ধতিতে কৃষিকাজ ও হাঁস পালন করে আসছেন।
হাওরপারের বোয়ালী গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি হাঁসের খামার করে আমরা লাভবান হচ্ছি। বন্যার পানি এসে অনেক বছর আমাদের ফসল নষ্ট করে দেয়। একটিমাত্র ফসল নষ্ট হয়ে গেলে সারাবছর আমাদের কষ্ট করে চলতে হয়। ফসল বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলে। এজন্যই ধান চাষের পাশাপাশি আমরা লাভজনক কিছু করার চেষ্টা করছি। হাঁসের খামারে কম সময়ে বেশি লাভ করা যায়।
আরও পড়ুন: বিরামপুরে মাল্টা চাষে নীরব বিপ্লব
এসি/ আই.কে.জে