ওমর মালিক ও রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দিয়ে নির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সোহেল রানা বয়াতির। গত বছরের শেষ দিকে মুক্তি পায় তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। এ সিনেমায় চরের মেহনতি মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনাকে পর্দায় তুলেছেন নির্মাতা। এবার সোহেল রানা বয়াতি বানিয়েছেন ‘নিদ্রাসুর’ নামের আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা।
যার ইংরেজি নাম ‘সুইট স্লিপ’। জাহাঙ্গীর হোসেন আপনের গল্পে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যটি। শান্তিতে ঘুমানোর জন্য মানুষ সর্বাত্মক চেষ্টা করে, কিন্তু নানা কারণে অনেকেই ঘুমাতে পারে না শান্তিতে। ফলে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়, জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এ রকম একজন ঘুমহীন মানুষের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নিদ্রাসুর। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওমর মালিক, রুনা খান, মো. ইকবাল হোসেন, সঞ্চিতা দত্ত, আশিক সরকার ও কাকন চৌধুরী।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণ করা আমার মূল লক্ষ্য। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ দিয়ে। দীর্ঘদিন পর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বেশ আনন্দ পেয়েছি। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ অব্যাহত রাখতে চাই। মানুষের গল্প তুলে ধরতে চাই।’
রুনা খান বলেন, ‘আমি অভিনয় করেছি মনোচিকিৎসক অনন্যার চরিত্রে। এমন চরিত্রে এবারই প্রথম কাজ করা হলো। সিনেমায় পরিচালক আমাদের শহুরে যান্ত্রিক জীবনের একটা গভীর সংকটের দিকে ফোকাস করেছেন। সিনেমার বিষয় নির্বাচনটা আমার বেশ ভালো লেগেছে।’
অভিনেতা ওমর মালিক বলেন, ‘নিদ্রাসুর সিনেমার গল্প আমাকে এতটাই আকৃষ্ট করেছে, নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে হলেও কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব এবং দর্শকদের মন জয় করবে নিদ্রাসুর।’
নির্মাতা জানান, সেন্সর ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ করে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন