ছবি: সংগৃহীত
১৩ বছর এক ছাদের নিচে কাটানোর পর বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান ও অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সংসার ভাঙে ২০০৪ সালে। সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খানকে রেখে সম্পর্কের ইতি টানেন সাইফ ও অমৃতা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাইফের বোন ও অভিনেত্রী সোহা আলি খান জানিয়েছেন, ভাইয়ের বিচ্ছেদের পর তার জন্য সময়টা বেশ জটিল ছিল, কারণ, তিনি অমৃতা সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
নয়ন দীপের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাইফ-অমৃতার বিচ্ছেদ তাকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এগুলো এমন বিষয়, যেগুলোর ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যখন একটা বিয়ে শেষ হয়, তখন দুই পরিবারকেই একধরনের পরিবর্তন ও মানিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সময়ের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের সমীকরণ তৈরি হয়, কিন্তু সেটা বেশ জটিল।’
অমৃতার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে সোহা আরও বলেন, ‘অমৃতা আমার খুব কাছের একজন মানুষ ছিলেন। আমি তার বাড়িতেই থেকেছি, তিনি আমাকে নিজের মতো করে দেখাশোনা করেছেন। এমনকি ফটোশুটে নিয়ে গেছেন, অনেক সময় পাশে থেকেছেন। আমরা একসঙ্গে খেলা করতাম। আমাদের সম্পর্কটা খুবই ভালো ছিল।’
সোহা জানান, ভাইয়ের সঙ্গে অমৃতার বিচ্ছেদের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সাইফ ও অমৃতা যেমন নিজেদের সমীকরণ ঠিক করেছেন, তেমনি সোহারও জায়গা খুঁজে নিতে হয়েছে।
সোহা বলেন, ‘যখন একটা সম্পর্ক ভেঙে যায়, তখন সবাইকে সময় দিতে হয় নিজেদের অবস্থান খুঁজে নিতে। প্রথমে ওদের (সাইফ ও অমৃতা) নিজেদের সমীকরণ ঠিক করতে হয়, তারপর আমাদেরও নিজেদের জায়গা খুঁজে নিতে হয়। এখন অবশ্য সব ঠিকঠাক হয়েছে। সারা আর ইব্রাহিম বড় হয়ে গেছে। তাই এখন অনেক সহজভাবে সবার সঙ্গে থাকা যায়।’
সাইফ ও অমৃতার বিচ্ছেদের সময় সারা ছিল ৯ বছর বয়সী, আর ইব্রাহিমের বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর। পরবর্তীতে ২০১২ সালে সাইফ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে, তাদের দুই ছেলে-তৈমুর ও জেহ।
এর আগেও সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর এক সাক্ষাৎকারে তাদের দাম্পত্যে ভাঙনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘যখন দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকা হয় এবং সন্তান থাকে, তখন বিচ্ছেদ কখনোই সহজ হয় না। সেই সময়টা আমাদের জন্যও কঠিন ছিল। ইব্রাহিম তখন খুব ছোট, আর আমরা ওকে খুব ভালোবাসতাম, বিশেষ করে টাইগার (মনসুর আলি খান পতৌদি) ওর প্রতি আলাদা স্নেহ দেখাতেন।'
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন