ছবি : সংগৃহীত
বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ার রিলস কিংবা ভিডিওতে তিসি বীজের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় তো বটেই, ত্বকের জন্যও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুণ উপকারি। এছাড়া ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এই তিসি বীজ।
আমরা অনেকে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় একগাদা টাকা খরচ করে কসমেটিকস কিনে থাকি, বিউটি পার্লারে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করি। এছাড়া বলিরেখা প্রতিরোধী বোটক্স ইনজেকশন নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন অনেক বলিউড-হলিউড তারকা।
অথচ ত্বক বিশেষজ্ঞদের অনেকের দাবি, ত্বকে নিয়মিত ফ্ল্যাক্স সিড ব্যবহার করা গেলে জীবনে কখনও বোটক্স বা অন্যান্য রাসায়নিক ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন নেই! রাসায়নিক উপাদান থেকে কারও কারও ত্বকে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অথচ ফ্ল্যাক্স সিড ব্যবহারে সে ঝুঁকি নেই।
আরো পড়ুন : ঠান্ডায় নাক বন্ধ হলে দ্রুত করণীয় কী?
ফ্ল্যাক্স সিডে আরও রয়েছে বিপুল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের আর্দ্রতা ফেরানোর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালাভাব, চুলকানি কমাতেও সহায়তা করে ফ্ল্যাক্স সিড। ব্রণ বা ব্রেকআউটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই বিশেষ বীজ। এবার জেনে নেওয়া যাক ত্বকে ফ্ল্যাক্স সিড ব্যবহারের দু’টি উপায়-
ফ্ল্যাক্স সিড ও পানি
চুলায় পানি বসিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সিড মেশান। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে মিশ্রণটি অন্য একটি বাটিতে ঢেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ৩-৪ ঘণ্টা। তারপর ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পেস্ট তৈরি হবে। এটি আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ফ্ল্যাক্স সিড ও টক দই
এই মাস্ক বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন ১ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্স সিড গুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ টক দই। এই দুই উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। ৮-১০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একদিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন