শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি *** জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন *** বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর সোনাও জিতলেন ‘ম্যাজিক’ মারশাঁ *** নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতাকর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর *** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

চেউয়া শুঁটকি বিক্রি করে এবার শতকোটি টাকা আয় করবেন জেলেরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে চেউয়া শুঁটকি তৈরির ধুম পড়েছে। নদীতে ধরা পড়া চেউয়া মাছ শুঁটকি তৈরির মাধ্যমে জেলেদের নতুন আয়ের পথ সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর শতকোটি টাকার ব্যবসার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ব্যবসার প্রসারে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা   

জানা গেছে, দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চারপাশে রয়েছে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর। দ্বীপের জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ। তবে অন্য মাছের তুলনায় এবার প্রচুর পরিমাণে চেউয়া মাছ ধরা পড়ছে। বিশেষ করে দ্বীপ উপজেলাটির জঙ্গলিয়া ঘাট, মোহাম্মদপুর ঘাট, মুক্তারিয়া ঘাট, কাঁটাখালি ঘাট, কাদিরাঘাট ও রহমত বাজার ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে প্রতি মৌসুমে চেউয়া শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলে। 

প্রতি বছরের বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু হওয়া এ চেউয়া মাছের মৌসুম চলে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাদের হাত ধরে দেশে অর্ধেক চেউয়া মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এ দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার লোকের হাত ধরে তৈরি হওয়া এই চেউয়া শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। যা দিয়ে তৈরি হয় মাছ ও মুরগির খাদ্য (ফিড)। মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত চেউয়া শুঁটকির বেশিরভাগই যায় এই দ্বীপ থেকে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নবির উদ্দিন মাঝি বলেন, গত বছর কোনো চেউয়া মাছ পাই নাই। যারা দূরের তারা কিছু পাইছে। এবার যদি আল্লাহ দেয় তাহলে আমাদের ভাগ্য খুলবে। তবে এবার চেউয়া মাছ পাওয়া শুরু হয়েছে। এর আগের বছর ভালো মাছ পাইছি। আমার হাতে নয় লাখ টাকার মাছ ধরা পড়েছে। একেকজন জেলে ৭০ হাজার টাকার মাছ পেয়েছে। 

আবদুল খালেক ঢাকা বলেন, প্রথম কাটালে আমরা ভালো মাছ পেয়েছি। এবার ভালো মাছ পাবো আশা করি। সামনের কাটালে যা পাবো সেগুলো খাওয়ার জন্য হবে। বড় বড় সাইজ। আমরা মাছ কম হলে নিয়ে আসি আর বেশি হলে চৌধুরী খালে শুকাতে দেই। এবার মণ ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, নিঝুমদ্বীপের অধিকাংশ মানুষ মাছের উপর নির্ভরশীল। নদীতে যদি মাছ ভালো পড়লে তাদের ভাগ্য বদল হয়। গেছে বছর তেমন ইলিশ পাওয়া যায় নাই। এখন চেউয়া শুঁটকির সিজন চলে। প্রথম থেকে চেউয়া মাছ দেখা দিয়েছে। আশা করি এবার চেউয়া শুঁটকি উৎপাদন বেশি হবে। বেশি হলে তাদের গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে।

আরো পড়ুন: শরীয়তপুরে অনুমোদনহীন হাসপাতাল সিলগালা

এইচআ/ আই. কে. জে/  


বাণিজ্য চেউয়া শুঁটকি হাতিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন