ছবি: সংগৃহীত
সীমান্ত হত্যা ও বেড়া দেওয়া নিয়ে যখনই কোনো প্রশ্ন উঠবে, তখনই বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত এর মীমাংসা করবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে দুই বাহিনীর তিনদিনের এই বৈঠকে সীমান্ত হত্যা ও বেড়া দেওয়ার বিষয় দুটিই প্রাধান্য পেয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা ও পিটিআই আলাদা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সীমান্তের দেড় শ মিটার ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃত। সেটা মেনে নিতে হবে।
বিজিবির মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বেড়া দেওয়া নিয়ে আপত্তি দেখা দিলে বা প্রশ্ন উঠলে দুই বাহিনী যৌথভাবে এলাকা পরিদর্শনের পর সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
দুই বাহিনীর বৈঠকের পর আজ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কোনো ধরনের সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দুই বাহিনী সমন্বিতভাবে তৎপর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিজিবির মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত। মিডিয়ার সৃষ্টি।’
তিনি বলেন, ‘বিজিবির আওতায় যেসব এলাকা পড়ে, সীমান্তের ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত সেখানে কোথাও দুর্গাপূজার সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যেগুলো ঘটেছে তার চরিত্র ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক। বহু ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরা জানিয়েছেন, তারা ভীত, সন্ত্রস্ত। বিজিবি তাদের সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।’
৫ই আগস্টের পর ভারত-বাংলাদেশের পুরো সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে বলে উল্লেখ করেন বিজিবির মহাপরিচালক।
বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীও সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ই আগস্টের পর ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
হা.শা./ আই.কে.জে