ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: খামেনির কার্যালয়
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার 'বিরোধিতা' করেছেন বলে জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মনে করেন, খামেনিকে হত্যা করা হলে 'সংঘাত শেষ হবে' এবং 'পরমাণু যুদ্ধ' বন্ধ হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ই জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে প্রশ্ন রাখা হয়—ইরানের দীর্ঘদিনের শাসক ও দেশটির পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর আলী খামেনি এখন কী করবেন?
আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক সহকারী সচিব জেফ্রি ফেল্ডম্যান সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, 'আমি মনে করি, ক্ষমতায় টিকে থাকা তার (খামেনি) একমাত্র লক্ষ্য।'
ফেল্ডম্যান আরও বলেন, 'যদি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা তার লক্ষ্য হয়, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে তাকে আলোচনায় বসতে হবে। আমার মনে হয়, তিনি তা করতে রাজি হবেন।'
সাবেক এ সহকারী সচিবের ধারণা—তবে খোমেনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পথও বেছে নিতে পারেন। এ যুদ্ধ ইরানকে পরমাণু বোমা বানানোর পথে পরিচালিত করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কোন পথ বেছে নেবেন তা এখন বড় প্রশ্ন।
এ দিকে গতকাল সোমবার (১৬ই জুন) রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে 'সবাইকে' দ্রুত তেহরান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কী কারণে তিনি এক কোটি মানুষকে তেহরান ছাড়তে বলেছেন, এর ব্যাখ্যা দেননি।
ট্রাম্প কানাডায় জি-৭ সম্মেলন ত্যাগ করে দ্রুত ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সে সময় তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করার অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, 'আরও বড় কিছু'র জন্য কাজ করা হচ্ছে।
খবরটি শেয়ার করুন