শুক্রবার, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** গোপালগঞ্জে সহিংসতা: তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি *** নুরের ওপর হামলা তদন্তে তিন সদস্যের কমিশন গঠন *** পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ থেকে বর্ণাঢ্য আয়োজন *** দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তারেক রহমানকে নিতে হবে, দরকার হলে ডকুমেন্ট দেবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** চিরকুমার আরমানির ১০ বিলিয়ন ডলারের ফ্যাশন সাম্রাজ্য এখন কার *** গাজীপুরে বাড়ল ১ আসন, কমল বাগেরহাটে *** দুবাইয়ে ১২০০ কোটি টাকা পাচার: সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা সিআইডির *** মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনের অযোগ্য হবেন, সরকারি চাকরিও থাকবে না *** জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা আশিস কাপুর যে কারণে গ্রেপ্তার

দুবাইয়ে ১২০০ কোটি টাকা পাচার: সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা সিআইডির

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ফাইল ছবি

দুবাইয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় অজ্ঞাত আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয় বলে সিআইডির মুখপাত্র জসীম উদ্দিন খান এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দুবাইয়ের আল বারশা, জাদ্দাফ, জাবেল আলি, বুর্জ খলিফা ও মার্সা দুবাইসহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ২২৬টি ফ্ল্যাট কেনেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এসব সম্পত্তির বাজারমূল্য ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ দিরহাম। তার স্ত্রী রুকমীলা জামানের নামে আরও দুটি সম্পত্তি কেনা হয়, যার মূল্য ২২ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম।

এ ছাড়া দুবাই ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে এই দম্পতির নামে প্রায় ৩১১ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সিআইডির দাবি, পাচার করা অর্থ দিয়ে তারা দুবাইয়ের রাস আল খাইমাহ ইকোনমিক জোনে Zeba Trading FZE ও Rapid Raptor FZE নামে দুটি কোম্পানি নিবন্ধন করে ব্যবসা শুরু করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী বিদেশে বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের জন্য তাদের কোনো অনুমোদন ছিল না।

এভাবে বিদেশে সম্পত্তি কেনা, কোম্পানি নিবন্ধন ও ব্যাংক হিসাব খোলার মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, পাচারকৃত অর্থের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্‌ঘাটন ও অজ্ঞাত আসামিদের শনাক্ত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন