বর্ষায় ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য ত্বকে ছত্রাকঘটিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই এ সময় ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। ছবি: পেক্সেলস
বর্ষায় ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য ত্বকে ছত্রাকঘটিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ আবহাওয়ায় জীবাণু দ্রুত হারে বংশবিস্তার করে। ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাসের সংক্রমণে চুলকানি, র্যাশ বা ত্বক ফুলে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় ত্বকের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। চুলকানি দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন।
যেসব ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন—
বেকিং সোডা ও লেবু
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বেকিং সোডা ও লেবু ব্যবহৃত হয়। এই দুটি উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি চুলকানির মতো সমস্যাও কমাতে কাজ করে। চুলকানির সমস্যা সারাতে গোসলের পানির সঙ্গে এক চামচ বেকিং সোডা ও কয়েক চামচ লেবুর রস মেশান। এই পানি দিয়ে গোসল করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
নিম পাতা
নিম পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা রয়েছে। যে কোনো ধরনের সংক্রমণ সারাতে এটি দারুণ কার্যকর। চুলকানি থেকে বাঁচতে আক্রান্ত জায়গায় নিম পাতার পেস্ট লাগান। এই প্রাকৃতিক উপাদান চুলকানির কার্যকর দাওয়াই।
চন্দন
রূপচর্চায় চন্দনের জুড়ি নেই। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, চন্দন চুলকানিও দূর করে। যাদের চুলকানি রয়েছে, তারা আক্রান্ত জায়গায় চন্দনের পেস্ট লাগাতে পারেন।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা সর্দি-কাশি সারাতে কাজ করে। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না, তুলসী পাতা চুলকানিও দূর করে। কয়েকটি তুলসী পাতার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ নারকেল তেল মেশান। এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করুন। এটি আপনাকে চুলকানির সমস্যাসহ অন্যান্য ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেবে।
নারকেল তেল
শুধু চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা নয়, নারকেল তেল ত্বকও ভালো রাখে। চুলকানি দূর করতে ত্বকে এ তেল মেখে নিতে পারেন। এটি ত্বক আর্দ্র ও সতেজ রাখতে সহায়তা করবে। এতে চুলকানি কমে যাবে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা তথা ঘৃতকুমারীর গুণ অনেক। এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়। ত্বক সতেজ রাখে। চুলকানি ও অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। ত্বকে লাগিয়ে এটি ৩০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন