ছবি: সংগৃহীত
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর গড় পাশের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। কোভিড মহামারীর পর ২০২৩ সালে প্রথমবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছিল। এক বছর না যেতেই আবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলন তীব্র হলে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার পর বাকি বিষয়গুলোতে আর নেয়া সম্ভব হয়নি। সিলেট বিভাগে বন্যার কারণে আগেই পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে সেখানে মাত্র তিনটি পরীক্ষা হয়েছিল। পরবর্তীতে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে বাকি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। যেসব পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসির নম্বর বিবেচনায় নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এবার ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এরপরও কিছু ছাত্র অটো পাশের দাবি তুলেছিল, কিন্তু সরকার সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিটি ছাত্রের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার পর প্রধান চিন্তা থাকে মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া। কিন্তু দেশে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকট রয়েছে। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খুবই অভাব। এ সংকট নিরসনে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি ভালো মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে না এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। সেজন্য শিক্ষাকে সম্পদ মনে করে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এখনই ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের সময়।
আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণিতে ফের বিজ্ঞান-বাণিজ্য-মানবিক বিভাগ চালুর নির্দেশ
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর পরই শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার বৃহত্তর জগতে প্রবেশ করে। যা ভবিষ্যৎ জীবন গঠন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করে। আর এই সময়ে যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকে তার মাশুল সারাজীবনে ভোগ করতে হয়।
চলতি বছর যে পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে তাতে করে ভালো-মন্দ বিচার করা সম্ভব নয়। কারণ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের মান যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এবার পাশ করা শিক্ষার্থীদের আসল পরীক্ষা হবে ভর্তিযুদ্ধে।
এসি/ আই.কে.জে/