শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেফতার ৬

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০০ অপরাহ্ন, ২৯শে নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮শে নভেম্বর) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার সাইফুল সানতু। এর আগে টাঙ্গাইল সদর ও রংপুরের কোতোয়ালি থানা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে ৯টি বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক, ৬০টি নকল প্রবেশপত্র, ৭০টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা রাজস্ব স্ট্যাম্প ও একটি সিপিইউসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন - ধনবাড়ির শ্রীহরিপুর গ্রামের ছবুর উদ্দিনের ছেলে এসএম আয়াত, সদর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের জাফর আলীর ছেলে জিহাদ, কালিকৈটাল গ্রামের জুব্বার সিকদারের ছেলে আব্দুল্লাহ, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে মেহেদী হাসান, দোড়াকান্দর গ্রামের দ্বীপক চন্দ্রের ছেলে হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন ও বড় আমবাড়ী গ্রামের ওবায়দুল ইসলামের ছেলে তুহিন মিয়া।

জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার সাইফুল সানতু সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২০শে নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এসএম আয়াত, জিহাদ ও আব্দুল্লাহর লিখিত পরীক্ষায় খাতায় প্রাপ্ত নম্বর এবং তার মৌখিক পরীক্ষায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে অসঙ্গতি ও তারতম্য পরিলক্ষিত হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির সম্পদ ফেরাতে না পারলে কীসের বিপ্লব : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

একপর্যায়ে প্রার্থীরা স্বীকার করে যে গত ১৩ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় নিজেরা অংশ না নিয়ে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে অন্য ব্যক্তিদের দিয়ে ওই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

পরে পুলিশ বাদী হয়ে ২০শে নভেম্বর সদর থানায় মামলা করে। তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ২৫শে নভেম্বর মামলাটি আদালত থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি দক্ষিণ) হস্তান্তর করা হয়।

পরে ডিবি পুলিশ তাদের আরও দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মেহেদী হাসান, হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন ও বড় আমবাড়ী গ্রামের ওবায়দুল ইসলামের ছেলে তুহিন মিয়াকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার সাইফুল সানতু জানান, গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। জালিয়াতিতে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসি/ আই.কে.জে/       

গ্রেফতার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন