সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ২৯শে ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া *** ২০শে জানুয়ারির মধ্যে সব পাঠ্যবই সরবরাহের নির্দেশ *** মুম্বাইয়ে অরিজিতের কনসার্টের টিকিটের মূল্য লাখ টাকা *** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম

পরিবার থেকেই হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৫ অপরাহ্ন, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

৯ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে  ৯ই ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপসনে (আনকাক) সই করা বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯১টি দেশ একসাথে দিবসটি পালন করে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য— ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা : গড়বো আগামীর শুদ্ধতা।’

প্রতি বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ দেশের প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়। একইসঙ্গে দেশে সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন বা সনদে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতি সমাজের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, গণতান্ত্রিক কাঠামো, নৈতিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারকে ক্ষুন্ন করে এবং টেকসই উন্নয়ন ও আইনের শাসনকে বিপন্ন করে। সুতরাং এই কনভেনশন দক্ষতার সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তিগত সহায়তা, আন্তর্জাতিক সহায়তা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সারা বিশ্বের সরকার, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যম এবং সাধারণ নাগরিকরা দিবসটি পালন করে।

বাংলাদেশের সমাজজীবনে দুর্নীতি একটি চিরাচরিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতি আজ রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি, সামাজিক, ধর্মীয় ও ব্যক্তি জীবনের সব ক্ষেত্রে বিরাজ করছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও তা থেকে বাদ যাচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবা গ্রহীতার কাছ থেকে সেবা দেওয়ার সময় বিভিন্ন অজুহাতে সগৌরবে ঘুষ নিয়ে থাকেন। এটা তাদের প্রাপ্য বলেই মনে করেন। যার আরেক নাম ‘স্পিড মানি’। এই সেবা মূলত সেবা নয়, বরং অনৈতিক, অন্যায্য ও আইন বহির্ভূত সুবিধা প্রদান। সম্পূর্ণ নগদ অর্থে লেনদেন হওয়ার কারণে এই ধরনের আর্থিক দুর্নীতি উদঘাটন করা তুলনামূলক কঠিন।

দুর্নীতিমুক্ত সমাজ সবার কাম্য। দুর্নীতি উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে এবং জনগণের সম্পদকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করার প্রবণতা জাগায়। দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে যারা প্রভাব বিস্তার করে তারা সেই প্রভাব স্বীকার করে না। এই দুর্নীতিপরায়ণ অবস্থা কোনো নীতিকথা ও তথাকথিত সামাজিক বয়কটে পরিবর্তন হবে না। বর্তমান যুগে অপরাধের ধারা বদলে গেছে। এসব দুর্নীতি ও অপরাধ কর্মের সঙ্গে সমাজের উচ্চ মহলের শিক্ষিত, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদদ রয়েছে। তাদের সহায়তায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে বহাল তবিয়তে থাকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় দণ্ডিতের অর্ধেকেরও বেশি অপরাধী সামাজিক ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছে রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

আই.কে.জে/  

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন