ছবি: সংগৃহীত
অস্কারজয়ী সংগীতজ্ঞ এ আর রহমান ও সায়রা বানুর বিচ্ছেদের বিষয়টি এখন সকলেরই জানা। তাদের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানার বিষয়টি ১৯শে নভেম্বর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে নেতিবাচক সংবাদ ছাপিয়ে এই দম্পতির সংসার জোড়া লাগার সম্ভাবনা জেগেছে। আর এই পুনর্মিলনের সংবাদটি জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ।
রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের কথা জেনে কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করে তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন যেন, দাম্পত্য যেন মিটে যায়। তবে এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।
ভারতের ডিভোর্স আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বন্দনা। তিনিই রহমান এবং সায়রার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি দেখছেন। কয়েকদিন আগে ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে রহমানের ডিভোর্স নিয়ে কথা বলেন এ আইনজীবী। এ সময় সায়রা-রহমানের পুনর্মিলনের আশার বাণী শোনান বন্দনা!
আরও পড়ুন: শারীরিক চাহিদা মেটানোই সব নয় : এ আর রহমান
বন্দনা শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি তো কখনো বলিনি তাদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি। সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার। যেখানে তাদের কষ্ট এবং বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য তাদের, তাই অনেক চিন্তা-ভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। কিন্তু আমি তো এরমাঝে কখনো বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়।
এ আর রহমান সন্তানদের দায়িত্ব কে নেবেন- এ প্রসঙ্গেও বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছে। এমন কৌতূহলের মাঝেই আইনজীবী বন্দনা শাহ জানালেন, সায়রা এবং রহমান কেউ এখনো সেটা ঠিক করেননি। সন্তানরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মা না বাবার কাছে থাকবে।
এ আর রহমানের সম্পত্তি প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোশ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরণের কোনো আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য’।
বন্দনা শাহ আরও জানান, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এ আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন