ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত নন, এমন ৫২ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের জাতীয় পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো তাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্য তুলে ধরেছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। জুলাই শহীদদের নিখুঁত তালিকা করার জন্য গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ সোমবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) ভয়েস বাংলা একটি ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এমন মন্তব্য করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক মোস্তফা ফিরোজ।
প্রথম আলোর সংবাদের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কী দুর্ভাগ্যজনক খবর, জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু—তবু তারা জুলাই শহীদ। ৫২ জন শহীদের তালিকায় আছেন, তারা আসলে জুলাইয়ের প্রকৃত যুদ্ধে শহীদ হননি। এক বছর আগের সেটাই আমরা ঠিক করতে পারলাম না।'
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে প্রায়ই বলি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ঢুকে গেছে, কে মুক্তিযোদ্ধা, কে মুক্তিযোদ্ধা না আমরা সন্দেহের মধ্যে থাকি। আর এখন জুলাই শহীদ, জুলাই যোদ্ধা আপনি কীভাবে চিনবেন?’
মোস্তফা ফিরোজ আরো বলেন, ‘এর জন্য দায় কার? জুলাইতে যারা নেতৃত্ব দিলেন, তারা চলে গেলেন রাজনৈতিক দল গঠন করতে। অথচ মূল দায়িত্বটা নেওয়ার দরকার ছিল তাদের, নিলেন না তারা।’
প্রসঙ্গত, আজ প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে 'জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, তবু তারা জুলাই শহীদ' শিরোনামে অনুসন্ধানীমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, 'বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহীদদের তালিকায় নাম ওঠাতে ভূমিকা রেখেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। প্রথম আলো ৪১টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। অনেকেই স্বীকার করেছেন, তাদের স্বজনের মৃত্যু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে হয়নি। কেউ কেউ বলেছেন, তারা সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় নাম দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাদের প্ররোচনাও দেওয়া হয়েছে।'
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন মোট ৩০ লাখ টাকা দেবে সরকার। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছে। ঢাকায় তাদের ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
খবরটি শেয়ার করুন