মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১লা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বডি লোশন কি মুখে মাখা যাবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:১৫ অপরাহ্ন, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

হাতে-পায়ে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয় বডি লোশন। অনেকে আবার এই বডি লোশনই ময়েশ্চারাইজারের মতো করে মুখে মাখেন। কিন্তু এই চর্চাটা একেবারেই অনুচিত। মুখের ত্বকে বডি লোশন ব্যবহার না করার তিনটি মূল কারণ জানানো হলো এখানে। 

মুখ ও অন্যান্য অংশের ত্বকের পার্থক্য

আমাদের মুখের ত্বক শরীরের বাকি অংশের ত্বকের চেয়ে আলাদা। অন্যান্য অংশের ত্বক অনেক পুরু এবং তাতে সহজে প্রতিক্রিয়া হয় না। অন্যদিকে মুখের ত্বক পাতলা এবং স্পর্শকাতর। তা ছাড়া মুখের ত্বক সূর্যালোক, দূষণের মতো পরিবেশের ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ফলে মুখের দরকার বিশেষ যত্ন যা সাধারণ বডি লোশন জোগান দিতে পারে না।

ভিন্ন ফর্মুলেশন

মুখে মাখার ময়েশ্চারাইজার এবং বডি লোশনের ফর্মুলেশন ও টেক্সচার একেবারেই ভিন্ন। ময়েশ্চারাইজার ক্রিমে ত্বকের ধরনের উপযোগী নানারকম অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে যা ত্বকের বিশেষ প্রয়োজনগুলো মেটায়। এটি ঘনত্বের দিক থেকে অনেক হালকা। অন্যদিকে বডি লোশনে তৈলাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড (আর্দ্র) রাখলেও মুখের ত্বকের জন্য খুব ভারি।

আরো পড়ুন : ঘুম ঘুম ভাব দূর করতে যা করণীয়

ত্বকের সমস্যা

ময়েশ্চারাইজারের তুলনায় বডি লোশন অনেক ঘন আর তৈলাক্ত হয়ে থাকে; ফলে ত্বকে চট করে শুষে যায় না। এ জন্য আমাদের লোমকূপগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস, বলিরেখা, পোরস প্রভৃতি ছোট-বড় সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের মুখের ত্বকের জন্য নন-কমেডোজেনিক পণ্য প্রয়োজন, যা লোমকূপকে বন্ধ করবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য তুলনামূলক পাতলা ও ব্যবহার উপযোগী ময়েশ্চারাইজার তৈরি করা হয়।

মনে রাখবেন, ব্রণ, একজিমা বা অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার অসুবিধা থাকলে বডি লোশন মুখে ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক হবে না। ত্বকের সঠিক পরিচর্যা ও যত্নের জন্য ত্বকের সাথে মানানসই ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। 

এস/ আই.কে.জে/

বডি লোশন

খবরটি শেয়ার করুন