রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের *** কিরগিজস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেকে সরানো হলো লেনিনের ভাস্কর্য

সাগরে মাছ ধরা

৬৫ নয়, ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা চান জেলেরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, ১৯শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননের জন্য বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় শুক্রবার (১৭ই মে) থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ২৩শে জুলাই পর্যন্ত। 

টেকনাফ উপকূলের জেলেরা জানিয়েছেন, রোজার মাসে সাগরে মাছ ধরা পড়েনি; ঈদের পর থেকে সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এরই মধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।   

টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপের ডিঙিনৌকা মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল গফুর গণমাধ্যমকে বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৬৫ দিন দরকার আছে কি না, তা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। এমনিতেই আমাদের রোজগারে টান পড়েছে; তার ওপর সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিভাবে পরিবার চলবে, এই নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছেন জেলে পরিবারগুলো।”

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের বাস। দ্বীপের পশ্চিম সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক’শ ডিঙি নৌকা বালুচরে নোঙর করে রাখা। জেলেরা চরে ও নৌকায় বসে মাছ ধরার জাল মেরামত করছেন। 

শাহ পরীর দ্বীপের পশ্চিত পাড়া সৈকত থেকে উত্তর দিকে হারিয়াখালী, সাবরাং মুণ্ডারডেইল, টেকনাফের মহেশখালিয়াপাড়া, বাহারছড়া, শাপলাপুর, মনখালী সৈকতে লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা রঙের আরও কয়েক’শ ডিঙিনৌকা নোঙর করা দেখা গেছে।

আরো পড়ুন: আজ থেকে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের সামনের সৈকতে এবং উত্তর দিকের আরও এক কিলোমিটার সৈকতে কয়েক’শ নৌকা ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলকালে জেলেদের চালের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও দাবি দিয়েছেন জেলে নেতারা।

জেলে নেতা আবদুল গফুর গণমাধ্যমকে জানান, “সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু উপকূলের কাছাকাছি ছোট মাছ ধরার নৌকার ওপর কেন এই বার্তা, তা বোধগম্য নয়। জেলেদের পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমিয়ে ৩০ দিনে করার দাবি জানাচ্ছি।”

“মাছ আহরণ বন্ধ থাকলে সরকারিভাবে বেকার জেলেদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু ডিঙিনৌকার ৫ হাজার জেলে এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত।” 

দ্বীপের মাঝের পাড়া গ্রামের জেলে ৪৫ বছর বয়সী নুর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, “রোজার মাসে সাগরে কোনো মাছই ধরা পড়েনি। ঈদের পর থেকে সাগর উত্তাল। এই কারণে মাছ ধরা বন্ধ। আবার রোববার (১৯শে মে) থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এসময় সংসার চালাব কি করে, ভেবে পাচ্ছি না।”

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ইলিশের প্রজননসহ মৎস্যভাণ্ডার সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ট্রলার যেন সাগরে না নামে, সেজন্য মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপকূলে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এছাড়া সাগর উপকূলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এইচআ/ 

নিষেধাজ্ঞা মাছ ধরা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন