ছবি: সংগৃহীত
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২০শে মার্চ) ‘লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের’ প্রস্তাবনায় উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর মাধ্যমে ধর্ষণের সংজ্ঞা সংশোধন করা হয়েছে, প্রণয়ের সম্পর্ক থাকাকালে বিয়ের প্রলোভন বা অন্য কোনো প্রতারণার মাধ্যমে যৌনকর্ম করার দণ্ড প্রদানের বিধান করা হয়েছে এবং শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমনে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, বিচারক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, মানবাধিকার সংস্থা, আইন বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের মতামত পর্যালোচনা করে আইন ও বিচার বিভাগ এ খসড়া প্রণয়ন ও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করে।
এটি ছাড়াও আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরও তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—
১. সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান, তা বাতিল করা হয়েছে।
আগের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পেতো। এটা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিকে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২. পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা আগে নিজ নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।
৩. চৈত্র সংক্রান্তিতে নির্বাহী আদেশে তিন পার্বত্য জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া ও জৈন্তাসহ সমতলের বাঙালি ছাড়া অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী এ ছুটির আওতায় থাকবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন