শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

ভালো দাম পাওয়ায় মিরসরাইয়ে বেড়েছে লাউয়ের চাষ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এবার লাউ চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কারণ এ বছর দাম পেয়েছেন বেশি। ফলে উপজেলাজুড়ে ক্রমান্বয়ে লাউ চাষ বেড়ে চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার পাহাড়ি ও সমতল ভূমিতে শীতকালীন সবজি লাউ চাষ করা হয়েছে। উপজেলার আবহাওয়া লাউ চাষের অনুকূলে। প্রয়োজনীয় কৃষিসামগ্রী সহজলভ্য। এসব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা লাউ চাষ করছেন। এক সময় যে জমিতে শুধু ধান চাষ হতো, সেখানে ধানের পরে লাউয়ের সাথে মিষ্টি কুমড়াও চাষ হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, দুর্গাপুর, মিরসরাই সদর, খৈয়াছড়া, মঘাদিয়া, ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী ইউনিয়নে লাউ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। চাষিরা বলেন, ‘অন্য সবজির চেয়ে লাউ চাষ লাভজনক।’

মধ্যম ওয়াহেদপুরের কৃষক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘৩২ শতক জমি বর্গা নিয়ে লাউ চাষ শুরু করি। আমাদের খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আরও কিছুদিন বিক্রি করতে পারবো।’

আরও পড়ুন: আগাম আলু চাষে ভালো লাভ, খুশি লালমনিরহাটের কৃষকরা

আমবাড়িয়ার কৃষক গোলাম মর্তুজা জানান, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় লাউ চাষের মাচাং তৈরির প্রয়োজনীয় শলাকা ও খুঁটি হাতের কাছে পাওয়া যায়। ফলে মাচাং তৈরি ও ক্ষেত পরিচর্যায় খরচ কম। জমি থেকে লাউ তুলে বাজারে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। পাইকাররাই জমির পাশ থেকে নিয়ে যায়।

কৃষক ইমাম হোসেন বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে প্রতি পিস লাউ পাইকারি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি করেছি।’

সবচেয়ে বেশি লাউ চাষ করা হয়েছে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে। প্রায় ৩৫ ভাগ জমিতে লাউ চাষ হয়েছে। এখানকার পাইকারি সবজি বিক্রির বড় বাজার বসে বড়দারোগাহাটে। এখান থেকে পাইকাররা ট্রাকযোগে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ উপজেলায় শীতকালে প্রচুর লাউ চাষ হয়। গ্রীষ্মকালেও অনেক কৃষক লাউ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। শীতকালে প্রায় ২৭০ একর জমিতে লাউ চাষ হয়ে থাকে। চাষীদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’

এসি/ আই.কে.জে

লাউ চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন