ছবি: সংগৃহীত
দেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৩ই নভেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে গিয়ে মারধরের শিকার হন এক নারী। পরে গতকাল শুক্রবার (১৪ই নভেম্বর) গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময়ের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
তাকে মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আলোচনায় আসে চলতি বছরের ১লা সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারের একটি ঘটনা। সেদিন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছিলেন এক নারী। নেটিজেনরা বলছেন, ধানমন্ডিতে গ্রেপ্তার হওয়া নারীই সেপ্টেম্বরে জিয়ার মাজার খুঁড়তে গিয়েছিলেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ও খবর থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১লা সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের মাজারের মাটি খুঁড়ছিলেন এক নারী। স্থানীয় ব্যক্তিরা মাটি খোঁড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন—সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। এ সময় তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদের তোপের মুখে পড়েন এবং মারধরের শিকার হন।
সেখানে দীর্ঘ সময় অচেতন হয়ে পড়ে থাকার পর পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। সে সময় শেরেবাংলানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমাউল হক গণমাধ্যমকে জানান, ওই নারীর নাম সালমা বেগম।
এদিকে গত ১৩ই নভেম্বর ধানমন্ডিতে এক নারী মারধরের শিকার হন। এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী লাঠি দিয়ে মধ্যবয়সী ওই নারীকে পেটাচ্ছেন।
পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময়ের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে জানা যায়, ওই নারীর নাম সালমা ইসলাম।
নেটিজেনদের দাবি, দুটি ঘটনায় জড়িত ওই নারী আসলে একই ব্যক্তি। তারা বলছেন, তার পোশাক, চশমা ও চেহারা একই রকম এবং নামেও মিল রয়েছে। তবে নেটিজেনদের এ দাবির সত্যতা সুখবর ডটকম যাচাই করতে পারেনি।
আইনজীবীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪২ বছর বয়সী সালমা ইসলাম আজিমপুরে বসবাস করেন। তিনি একজন গৃহিণী। গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে হামলার শিকার হন তিনি।
সালমা ইসলামকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গতকাল জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার পর ওনাকে মারধর করা হয়। সেখান থেকে কয়েকজন তাকে আমাদের হাতে সোপর্দ করে।’
সালমা ইসলামকে গত বছরের ১৯শে জুলাই সরকারবিরোধী আন্দোলন চলার মধ্যে ধানমন্ডিতে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।
খবরটি শেয়ার করুন