ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতেই হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদালত রায়ে জানিয়েছে, দুর্নীতির এক মামলায় আগে দেওয়া সাজায় তিনি অবৈধভাবে হাসপাতালের বিলাসবহুল কক্ষে কাটিয়েছেন, অথচ সেই সময় তার জেলেই থাকা উচিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়কার এক দুর্নীতি মামলায় এই দণ্ড পেলেন থাকসিন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দীর্ঘদিন দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে কাটান। ২০২৩ সালে দেশে ফেরার পর তাকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে রাজকীয় ক্ষমার আবেদন করার পর থাই রাজা তাঁর সাজা কমিয়ে এক বছর করেন।
কিন্তু সাজা ঘোষণার পর বাস্তবে তিনি একদিনেরও কম সময় কারাগারে কাটান। হৃদ্রোগের অজুহাতে তাকে দ্রুত ব্যাংককের পুলিশ জেনারেল হাসপাতালের ১৪তম তলার বিলাসবহুল কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি প্রায় ছয় মাস ছিলেন। পরে জামিন পেয়ে বাসায় চলে যান।
সর্বশেষ মামলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই স্থানান্তর বৈধ ছিল কি না এবং তিনি আদৌ গুরুতর অসুস্থ ছিলেন কি না। এই মামলা থাইল্যান্ডে ‘১৪ তলা মামলা’ নামেও পরিচিত।
থাকসিন ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে থাই রাজনীতিতে প্রভাবশালী। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাদের রাজনৈতিক রাজত্ব শুরু। তার মেয়ে পেতংতার্ন সম্প্রতি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে গত মাসে নৈতিক মানদণ্ড ভঙ্গের অভিযোগে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় সাংবিধানিক আদালত।
৭৬ বছর বয়সী থাকসিনকে মঙ্গলবার আদালতে নিয়ে যান মেয়ে পেতংতার্ন। রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাবার জন্য তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন, তবে পরিবারের মনোবল অটুট রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিরোধী দল হিসেবে ফিউ থাই পার্টির কর্মকাণ্ড তিনি এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন