শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বৈশাখের আমেজে বাজারের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে কাঁচা আম। তীব্র গরমে কাঁচা আমের স্বাদ আমাদের এনে দিতে পারে স্বস্তি। কাঁচা আমের শরবত, চাটনি, আম দিয়ে ডাল, ভর্তা, আরও কত পদ তৈরি করে খাওয়া হয়। শুধু স্বাদ নয়, কাঁচা আম স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। তাই কাঁচা আমের গুণাগুণ সম্পর্কে আজ জানাবো।  

কাঁচা আমে থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন উপাদান চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি গরমের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে কাঁচা আম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আমে থাকা পটাশিয়াম গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। কাঁচা আম খেলে আরও যেসব উপকার পাওয়া যায়- 

আরো পড়ুন : ভাতের মাড় রান্নার কাজে লাগাবেন যেভাবে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁচা আম 

ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা আম নানাভাবে শরীরের জন্য উপকারী। এসব উপাদান শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য কাঁচা আম বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়া এই আম লিভার ভালো রাখে। কাঁচা আম চিবিয়ে খেলে পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এটি অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর করতেও কাজ করে। 

শরীর ঠান্ডা রাখে কাঁচা আম

গরমে রোদের প্রখর তাপের কারণে শরীর ঠান্ডা রাখা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফল হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। পাশাপাশি কাঁচা আম আমাদের শরীরের সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ কার্যকরী। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। ফলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও কমে আসে। যারা বুক জ্বালাপোড়ায়, বমিভাব, যকৃতের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই ফলটি খেতে পারেন। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে

যারা ওজন কমাতে চেষ্টা করছেন তাদের জন্যও উপকারী হতে পারে কাঁচা আম। পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমে ক্যালরি অনেক কম থাকে। যে কারণে ওজন কমানো সহজ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার হজমে সাহায্য করে কাঁচা আম। এটি অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী এই কাঁচা আম। 

ঘামাচি দূর করতে কাঁচা আমের ব্যবহার

গরমে অতিরিক্ত ঘাম আর ঘামাচির সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে ত্বকে দেখা দেয় র‌্যাশ বা অ্যালার্জি। কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। কারণ, কাঁচা আমে থাকা কিছু উপকারী উপাদান ঘামাচি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। 

ত্বক ও চুল ভালো রাখে কাঁচা আম

কাঁচা আম ত্বক ও চুল ভালো রাখে। গরমে ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। আপনি যদি কাঁচা আমের জুস তৈরি করে খান তাহলে তার মাধ্যমে এই ঘাটতি দূর করা সম্ভব হতে পারে। কাঁচা আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের উজ্জ্বল বজায় রাখতে কাজ করে।

কাঁচা আমের অপকারিতা

তবে কাঁচা আমের অপকারিতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এস/ আই.কে.জে/ 


উপকারিতা কাঁচা আম

খবরটি শেয়ার করুন