শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো টাকা তুলতে পারবে না এস আলম পরিবার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:১৫ অপরাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ঋণ সুবিধা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি তারা আমানতের টাকাও তুলতে পারবে না। এমনকি তাদের নামে কোনো ক্রেডিট কার্ড থাকলে তাতেও লেনদেন করা যাবে না।

এস আলম গ্রুপের মালিকানা রয়েছে এমন ৬ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংক হলো– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এর আগে সার্বিকভাবে এসব ব্যাংকের ঋণ বিতরণ সীমিত করা এবং এস আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব ধরনের শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এদিকে গত রোববার এস আলমের ৭ ভাই, স্ত্রী, সন্তানসহ ১৩ জনের ব্যাংক লেনদেন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ।

গত বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমে ‘ব্যাংক থেকে এখনও শত শত কোটি টাকা তুলছে এস আলম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কৌশলে ভেঙে ভেঙে টাকা তোলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এসআইবিএলের খাতুনগঞ্জ ও গুলশান শাখা থেকে টাকা উত্তোলনের সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য দেওয়া হয়। ওই দিনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি তদন্ত টিম খাতুনগঞ্জ শাখায় পরিদর্শন শুরু করে।

এ ছাড়া বিএফআইইউর একটি দল ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। ওই দিন ঋণ ও আমানত উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে ৬ ব্যাংকের এমডিকে চিঠি দেওয়া হয়।

এখন থেকে এস আলমের নামে-বেনামে থাকা প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপকে কোনো নতুন ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না। আগের ঋণ নবায়ন করা যাবে না। এসব প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপের নামে অনুমোদিত ঋণ থাকলেও তার বিপরীতে কোনো ধরনের উত্তোলন সুবিধা দেওয়া যাবে না। সাধারণভাবে গ্রুপটির কোনো এলসি খোলা যাবে না। সম্পূর্ণ নিজস্ব উৎস থেকে শতভাগ নগদ অর্থ জমা সাপেক্ষে ঋণপত্র খোলা যাবে। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপের নামে অনুমোদিত ঋণপত্র বা গ্যারান্টির মেয়াদ থাকলেও নতুন করে সুবিধা দেওয়া যাবে না। তবে আগে ঋণপত্র খোলা হয়েছে, এমন দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব, রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটা অথবা টাকার আমানত হিসাবে থাকা অর্থ ব্যবহার করা যাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের বিল কেনা যাবে না। এমনকি কোনো পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা যাবে না। তাদের যে কোনো মুদ্রায় ক্রেডিট কার্ড থাকলে লেনদেন বন্ধ করতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানের যে কোনো হিসাবে টাকা জমা করা যাবে।

আরো পড়ুন : সহসাই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না : বিইআরসি চেয়ারম্যান

এস/ আই.কে.জে/

 

এস আলম

খবরটি শেয়ার করুন