ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চায়ের প্রচলন ব্যপক। চা একটি উপকারী পানীয়। বিশেষ করে শীত ও বর্ষাকালে গরম গরম চায়ের জুড়ি মেলা ভার। চা আমাদের ক্লান্তি দূর করে এবং প্রফুল্লতা এনে দেয়। ঘুম কাটানো এবং তাৎক্ষণিক শক্তি পাবার জন্য চায়ের ব্যবহার সমাদৃত। চায়ের প্রধান উপাদান হলো ক্যাফেইন। যা শরীরে তাড়াতাড়ি শোষিত হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং মাংসপেশিতে বলের অনুভূতি দেয়। তাই আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে চায়ের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতি মাত্রায় চা পানের ফলেও দেখা দিতে পারে নানা ধরণের জটিলতা। অধিক মাত্রায় চা পানের ফলে-
*হজম শক্তি কমে যায়।
*কোষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেয় ও রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায়।
*হৃৎক্রিয়া অনিয়মিত হয়।
*নিদ্রা কমে যায় এবং খিটখিটে মেজাজের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন : ঋতু পরিবর্তনের সময় যে কারণে কমলা খাবেন
তাই বর্ষাকাল কিংবা শীতকালে চা পান করতে ইচ্ছা করলে চায়ের বদলে ব্যবহার করতে পারেন এই বিকল্প ভেষজ পানীয়গুলো-
ধরণ একঃ শুকনো আদা, পুদিনা পাতা, তুলসীপাতা, এলাচ, লবঙ্গ ও মিছরি গুঁড়ো গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে পান করুন দুধ মিশিয়ে কিংবা ছাড়া। এই বিকল্প চা অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি এটি হজমের সমস্যা, সর্দি, শরীর ব্যথা, ক্ষুধামন্দা দূর করে।
ধরণ দুইঃ অর্জুন গাছের ছাল, শুকনো আদা, তেজপাতা, গোলাপ ফুলের শুকনো অথবা তাজা পাপড়ি, তুলসী পাতা, এলাচ, সবকিছু একসাথে থেঁতো করে নিন। গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। মিছরি বা চিনি মিশিয়ে ইচ্ছে হলে দুধ মিশিয়ে গরম গরম পান করুন স্বাস্থ্যকর ও রিফ্রেশিং এই পানীয়গুলো।
এস/ আই.কে.জে