ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধ ‘অবসানে’ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু ওই আলোচনায় ইউরোপকে যুক্ত করা হবে না।ইউক্রেন বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত কেইথ কেলগ শনিবার (১৫ই ফেব্রুয়ারি) স্পষ্ট করেই এ কথা বলেছেন।
এ নিয়ে উদ্বেগ থেকে ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করছে। আগামী সপ্তাহে জরুরি সম্মেলনে বসতে চলেছেন ইউরোপের নেতারা। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকোরস্কি বিবিসিকে বলেছেন, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ জরুরি ওই সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। তবে মাখোঁ এখনো সম্মেলনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি।’
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার প্যারিসে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। স্টারমার বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তায় এমন মুহূর্ত ২০-৩০ বছরে একবারই আসে এবং এটা স্পষ্ট যে, ন্যাটো পরিচালনায় ইউরোপকে আরও বড় ভূমিকা নিতে হবে।’
অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে পেতে কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে চলেছেন আমেরিকা ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। বৈঠকটি হবে সৌদি আরবে। আমেরিকার প্রতিনিধিদলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ হোয়াইট হাউসের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থাকবেন।
আমেরিকার কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘ইউক্রেনকেও ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ এমন কোনো আমন্ত্রণ পায়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ইউরোপকে না রাখার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে ট্রাম্পের দূত কেইথ কেলগ বলেছিলেন, ‘এর আগের আলোচনাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ অনেক বেশি পক্ষ সেগুলোতে জড়িত ছিল।’
হা.শা./ আই.কে.জে/