শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৫ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি *** মিশ্র পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল নাটোরের কৃষক ইলিয়াস *** রপ্তানি নেই, তবু কেন কমছে না ইলিশের দাম? *** গ্রেফতারের পর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে *** তীব্র গরমের অস্বস্তি কবে কাটবে, জানালো আবহাওয়া অফিস *** ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয় *** ঢাবিতে ছাত্র–শিক্ষক–কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত *** দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ-নিন্দা-বিক্ষোভ *** অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন *** নতুন কোনো ইটভাটার অনুমতি নয়, বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ৩৪৯১টি

অল্প খরচে বেশি লাভ : জয়পুরহাটে বেড়েছে করলা চাষ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২০ অপরাহ্ন, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় গত বছর ১ বিঘা জমিতে করলা চাষে লাভ করেছিলেন। তাই এবার ২ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের আ. খালেক। এ মৌসুমে এরই মধ্যে তিনি ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেতের মাচায় সবুজ লতার মাঝে দুলছে করলা। কিছু করলা পেকে লাল হয়ে গেছে। প্রতিদিনই দুই বেলা সেই করলা জমি থেকে সংগ্রহ করে রাস্তায় তুললে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। এ করলা বিক্রির জন্য কষ্ট করে বাজারে নিতে হয় না। জমি থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যান।

জানা যায়, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মুনঝাড়, মিনিগাড়ী, দাশরা, বিলেরঘাট, চৌমুহনী, মোলামগাড়ী, সদর উপজেলার ধলাহার, দুগাছী, ভাদশা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, পুরানাপৈল, পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী, রতনপুর এলাকায় স্থানীয় উন্নত জাতসহ বারি ও হাইব্রিড জাতের করলা উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: বারোমাসি তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে জয়পুরহাটের কৃষকদের

মিনিগাড়ী গ্রামের কৃষক গোলাম আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বীজ বপনের ৪০-৬০ দিনের মধ্যেই গাছ থেকে করলা পাওয়া যায়। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করলা সংগ্রহ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৬০-৭০ মণ পর্যন্ত ফসল পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বিক্রি করা যায় ১ লাখ টাকার বেশি।’

মুনঝাড় গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার বেশি জমিতে করলা চাষ করেছি। জমি তৈরি, সার, বীজ, ওষুধ, কীটনাশকসহ সব মিলে ১ বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত গত পনেরো দিনে করলা বিক্রি করেছি ৬৫ হাজার টাকার। আরও ৪০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছি।’

করলা ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, ‘আমরা এখান থেকে করলা কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিই। এখান থেকে কৃষকরাও উপকৃত হন। আমরাও কিছুটা লাভবান হই। এখন করলা বেচাকেনা হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাদিয়া সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার জয়পুরহাটে ১৬০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। এতে কৃষকদের ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।’

এসি/ আই.কে.জে/

খরচ করলা চাষ

খবরটি শেয়ার করুন