সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে সহিংসতা

প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষণ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৮:১৯ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৫

#

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ১১ জন নাগরিকের পর্যবেক্ষণ দল। তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা তারা পাননি। তারা এ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ঘটেছে কী না, তা যাচাইয়ে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

১৬ই জুলাই গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হন। পরে অনেকে গ্রেপ্তার হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রাথমিক পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে ২২শে জুলাই জেলাটি সফর করেন ১১ জন নাগরিক।

তারা হলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, মোশাহিদা সুলতানা, রুশাদ ফরিদী, আইনজীবী সারা হোসেন ও মানজুর আল মতিন, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শিল্পী বীথি ঘোষ, লেখক ফিরোজ আহমেদ ও অধিকারকর্মী নাফিউল আলম। এ ছাড়া আরেকজন সাংবাদিক ছিলেন, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

১১ নাগরিকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শনিবার (২৬শে জুলাই) গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

নাগরিক পর্যবেক্ষণ দলটি গোপালগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ প্রশাসন, সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে ১৬ই জুলাইয়ের আগের ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়, আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) এবং এনসিপির সমর্থকদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানোর তৎপরতা ছিল। সমাবেশে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিক থেকে যেকোনো মূল্যে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করা, সমাবেশে এলে এনসিপির নেতাদের ফেরত যেতে দেওয়া হবে না ইত্যাদি প্ররোচনামূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়েছিল।

জে.এস/

গোপালগঞ্জ নাগরিক বিবৃতি গোপালগঞ্জে সহিংসতা গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন