ছবি: সংগৃহীত
দেশি মিষ্টি আলুর তুলনায় ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা ‘জাপানি জাতের মিষ্টি আলু’ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা ও বাঙালি নদীর চরাঞ্চলে জেগে ওঠা জমিতে কৃষকরা দীর্ঘদিন থেকে দেশি মিষ্টি আলুর চাষ করে আসছেন। স্থানীয় জাতের মিষ্টি আলুর সঙ্গে এ বছর চাষ হয়েছে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু। দেশি মিষ্টি আলুর তুলনায় এর ফলন দ্বিগুণ। তাই কৃষকরা এখন এই জাতের মিষ্টি আলুর দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার নারচি ইউনিয়নের চর গোদাগাড়ী গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে ১০০ বিঘার অধিক বেশি জমিতে এ জাতের আলু চাষ হয়েছে। চর গোদাগাড়ী গ্রামের কৃষক সামাদ আলী জানান, তার দুটি আলুর গাছে ছয় কেজি আলু হয়েছে। মাত্র ১৫ শতাংশ জমি থেকে তিনি ৪৫ মণ জাপানি মিষ্টি জাতের আলু পেয়েছেন।
কৃষক সামাদ বলেন, ‘জাপানি একটি কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তি সাপেক্ষে এ জাতের আলুর চাষ করছি। তারা আলুর চারা, সার, কীটনাশক সবকিছু দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা শুধু পরিচর্যা করেছি। এতে আমরা বেশ লাভবান হচ্ছি।’
আরো পড়ুন: গাজীপুরে চায়না-৩ জাতের লিচুর বাম্পার ফলন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘নারুতো জাপান কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি দুই বছর আগে চাষিদের মাঝে চারা, সার, বীজ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে এ জাতের মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করেছে। এ কোম্পানি কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মেট্রিক টন ১৫ হাজার টাকা দরে আলু ক্রয় করে। এরপর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেড কোম্পানির কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে জাপান, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ পাঁচটি জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে এ জাতের মিষ্টি আলুর চাষ শুরু হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ‘নতুন জাত হিসেবে ও ফলন বেশি হওয়ায় জাপানি মিষ্টি আলুর প্রতি কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে এ জাতের আলুর চাষ বৃদ্ধি পাবে।
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন