ছবি: সংগৃহীত
পুরুষের যৌন সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রেখে এখন করা সম্ভব হবে প্রোস্টেট তথা মূত্রথলির ক্যানসারের সার্জারি বা অস্ত্রোপচার। এমনটাই জানিয়েছে একদল ব্রিটিশ গবেষক। তারা বলেছেন, ব্যাপক পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে প্রোস্টেট ক্যানসারের আরও নির্ভুল অস্ত্রোপচার পদ্ধতি বের করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এ পদ্ধতিতে পুরুষের ইরেকটাইল ফাংশন তথা লিঙ্গোত্থান সক্ষমতা ধরে রাখার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ করে তুলেছে।
ব্রিটেনের পাঁচটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের এ নতুন পদ্ধতিটি মূল্যায়ন করেছেন। এ অস্ত্রোপচারে প্রোস্টেট গ্রন্থির গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। স্নায়ুগুলো পুরুষাঙ্গের উত্থানের জন্য দায়ী। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নিউরোসেফ নামে পরিচিত এ পদ্ধতিতে অপারেশন চলাকালে রোগীর শরীর থেকে সরিয়ে ফেলা প্রোস্টেট টিস্যু পরীক্ষা করা হয়। যদি পরীক্ষায় দেখা যায় যে, টিউমারটি সরানো সম্ভব হয়েছে, তাহলে স্নায়ু ধারণকারী প্রোস্টেটের বাইরের স্তর অক্ষত রাখা সম্ভব। বিষয়টি রোগীর ইরেকটাইল বা লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
এ পরীক্ষার প্রধান ও ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন হসপিটালের এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পরামর্শক ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক গ্রেগ শ বলেছেন, ‘পদ্ধতিটি সার্জনদের অস্ত্রোপচারের সময় তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করে, যা তাদের যত বেশি সম্ভব স্নায়ু রক্ষা করার নিশ্চয়তা দেয় এবং পুরুষদের ক্যানসার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণের পরে তাদের যৌন ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের আশা বাড়িয়ে তোলে।’
ইংল্যান্ডে পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসার সবচেয়ে সাধারণ ক্যানসার। প্রতি বছর দেশটিতে ৫০ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হন। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হন এবং এর মধ্যে ৩ লাখ ৭৫ হাজার জন মারা যান। ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এ রোগ সবচেয়ে বেশি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ দেখা না দেওয়ায় একে প্রায়শই নীরব ঘাতক বলা হয়।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন