ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
দেশের সর্ব উত্তরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ভোরবেলা কুয়াশা এবং শিশিরবিন্দু দেখে শীতকাল মনে হলেও এখন শরৎকাল (আশ্বিন মাস)। ঘন কুয়াশাই শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে উত্তরের এ অঞ্চলে।
শিশিরবিন্দু ঝরছে সবুজ ধানের ডগায় ও চা-গাছের পাতায় পাতায় শিশির ফোঁটা ভোরের আলোয় চকচক করছে। সেই শিশির ঝরা ঘাস উপেক্ষা করে চা-চাষিদের যেতে দেখা যায় চায়ের সবুজ খেতে।
শনিবার (২১শে সেপ্টেম্বর) ভোরে কুয়াশাছন্ন এ উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখা যায়। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও ধীরে ধীরে তা কমে আসছে। শরৎকালের মাঝামাঝিতেই এ অঞ্চলে ভোরে ঘন কুয়াশা, দিনে গরম রাতে শীত, বিরূপ আবহাওয়া বলছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানায়, উত্তরের এই অঞ্চলে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা সন্নিকটে হওয়ায় এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে অন্যান্য জেলার আগেই। পর্বতমালার প্রবাহমান হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ায় আগেই শীত অনুভূত হয় এ এলাকায়।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় এবং উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে এলে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমি বায়ু যখন বাংলাদেশের ওপর আর সক্রিয় থাকবে না, তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ গণমাধ্যমকে জানান, গত তিন দিন থেকে সকালে হঠাৎই চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যায়। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা গেছে।
ওআ/কেবি