সোমবার, ৭ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোনা জমিতে কোটি টাকার মিষ্টি তরমুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০০ অপরাহ্ন, ৭ই এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠ, যত দূর চোখ যায়, শুধু তরমুজের গাছ। সবুজ লতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ডোরাকাটা আলপনা আঁকা নানা আকারের তরমুজ। আবার কোথাও কোথাও মাঠের মধ্যে তরমুজ স্তূপ করে রাখা।

শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ায় বৃথা পরিশ্রম ভেবে কেউ চাষাবাদের চেষ্টা করতেন না। এখন সেই পতিত জমিগুলোই স্বপ্ন দেখাচ্ছে কয়রার চাষিদের।

অল্প সময়ে বিনিয়োগের দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ লাভ করায় দিনদিন এখানকার কৃষকের আশার আলো হয়ে উঠছে লবণসহিষ্ণু সুস্বাদু তরমুজের আবাদ। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে চাষের পরিধি বেড়েছে কয়েক গুণ।

কয়রা উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে এ উপজেলায় মাত্র ৬৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। এরপর ২০২১ সালে তরমুজ চাষ হয় ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ২০২২ সালে উপজেলায় তরমুজ আবাদের জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯৫ হেক্টরে। ২০২৩ সালে উপজেলায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়। আর ২০২৪ সালে তরমুজ আবাদের জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৩০ হেক্টরে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এ বছর ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা।

কয়রা উপজেলার আমাদী, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, চণ্ডীপুর, খিরোল, হরিকাঠি, কিনুকাঠি ও ফতেকাটিসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরলেই দেখা যাবে, তরমুজখেতে চাষিদের কেউ কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ আবার খেত থেকে তরমুজ তুলছেন। এমনকি তরমুজের মাঠে ঘুরছেন ফড়িয়া ও আড়তদাররা। বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রলার নিয়ে তরমুজ কিনতে আসেন অনেকেই।

আরএইচ/এইচ.এস

মিষ্টি তরমুজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন